Husband Hires Hitman to Murder Wife:অভিযুক্ত স্বামী নুর হোসেন ফকির ৷ তার বাড়ি জীবনতলা থানা এলাকায় ৷ তার সাথে আড়াই বছর আগে সন্তোষপুর এলাকার বাসিন্দা আসমান বিবির বিয়ে হয় ৷ বিয়ের পর পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে নুর ৷ স্বামীর প্রেমে বাধা দেয় আসমান বিবি ৷ এই নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি ৷ ঘটনার সমস্যার সমাধানে আসমান বিবির দাদুর বাড়ি বারুইপুর থানা এলাকার বেলেগাছির নবপল্লীতে সালিশি সভা ডাকা হয় ৷ বন্ধু পরিচয় দিয়ে সেই সালিশি সভায় সুপারি কিলার নিয়ে যায় স্বামী ৷ চিৎপুর থানা এলাকার বাসিন্দা সাহিল খান এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে চিহ্নিত ৷ তাকে ভাড়া করে নিয়ে আসে নুর ৷ সোর্স মারফত জানতে পেরে সাহিল খানকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিশ ৷ গ্রেফতার করা হয় নুরকে ৷ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আসমিন বিবির দাদুর বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে গুলি ভর্তি বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ ৷ ঘটনায় মোট ২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ৷ অভিযুক্ত স্বামী নুর ও সাহিল খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বারুইপুর থানার পুলিশ ৷
বারুইপুরের বেলেগাছিতে নুর হোসেন ফকিরের আসমান বিবিকে খুনের প্রচেষ্টায় সুপারি কিলার নিয়ে আসা ও গ্রেফতারের ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জীবনতলা থানার অধিবাসী নুর হোসেন ফকিরের সাথে আড়াই বছর আগে আসমান বিবির বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই নুর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। স্ত্রী আসমান এই সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। পরিস্থিতির সমাধানে বেলেগাছির নবপল্লীতে সালিশি সভা ডাকা হয়। নুর সেখানে তার বন্ধু পরিচয়ে সুপারি কিলার সাহিল খানকে নিয়ে আসে, যিনি চিৎপুর থানার অন্তর্গত এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই বারুইপুর থানা পুলিশ তৎপর হয় এবং সোর্স মারফত জানতে পেরে সাহিল খানকে গ্রেফতার করে। সাথে সাথে নুরকেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আসমান বিবির দাদুর বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে গুলি ভর্তি বন্দুক উদ্ধার করে। এই ঘটনায় মোট ২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা রহিমুদ্দিন শেখ বলেন, “এমন ঘটনার কথা শুনে আমরা সবাই হতবাক। বিয়ের পর এমন কিছু ঘটবে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।” এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, “এটা খুবই দুঃখজনক যে একজন স্বামী তার স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করতে পারে। এটা আমাদের সমাজের জন্য একটা বড় শিক্ষা।”
পুলিশ জানিয়েছে, নুর হোসেন ফকির ও সাহিল খানকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং এর পেছনে আরো কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বারুইপুর থানার এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এই ঘটনার পিছনের সব কারণ খতিয়ে দেখছি এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সমাজে নারীদের নিরাপত্তা এবং বৈবাহিক সম্পর্কের গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এই ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।”
ঘটনার পর বেলেগাছি এলাকার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সবাই বলছেন, “এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
এই ঘটনার পর থেকেই বারুইপুর থানা পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছে এবং সব ধরণের অপরাধ রুখতে প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের এই তৎপরতাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং সবাই অপেক্ষা করছে, নুর হোসেন ফকির ও সাহিল খানের বিচার কি হবে। সমাজের প্রতি একটাই বার্তা, “নারীদের সুরক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব এবং এর জন্য সবসময়ে সজাগ থাকতে হবে।”