High Court Case on Durga Puja:গত ২৩ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে এবার দুর্গাপুজো উপলক্ষে রাজ্যের প্রতিটি ক্লাবকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে, যা গতবারের থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি। এর সাথে, ক্লাবগুলির জন্য বিদ্যুতের ছাড়ও বৃদ্ধি করে ৬৬ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই ঘোষণার পরেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে এই অনুদানের উৎস নিয়ে।
বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপূজা, যা শহর থেকে শহরতলি সর্বত্র উদযাপিত হয়। ইউনেস্কোর (UNESCO) হেরিটেজ তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে এই উৎসবের আড়ম্বর আরও বেড়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারও প্রতি বছর এই উৎসবে অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে চলেছেন। এবারের অনুদান বেড়ে হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা, যা ক্লাবগুলির জন্য বিশাল সাহায্য। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কোথা থেকে আসছে এই টাকা?
সৌরভ দত্ত নামে এক ব্যক্তি, যিনি আগেও এই অনুদান নিয়ে মামলা করেছিলেন, এবার আবার হাইকোর্টে গেছেন। তাঁর অভিযোগ, গত কয়েক বছরে পুজোয় যে অনুদান দেওয়া হচ্ছে, সেই খরচের উৎস নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। জনস্বার্থ মামলায় তিনি জানতে চেয়েছেন, এই টাকার উৎস কী এবং ক্লাবগুলি এই টাকা গাইডলাইন মেনে খরচ করছে কি না।
এই বিষয়ে আগেও মামলা হয়েছিল এবং হাইকোর্ট রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তখন কোনও রিপোর্ট জমা দেয়নি। এবারও সেই প্রশ্ন উঠেছে যে এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে আসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পর অনেকেই সন্তুষ্ট হলেও, অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে এই অর্থের উৎস নিয়ে।

কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এই অনুদান রাজ্যের উন্নয়নের জন্য দেওয়া হচ্ছে। দুর্গাপূজা আমাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং এই অনুদান সেই উৎসবের উদযাপনে সাহায্য করবে।” তবে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, “রাজ্য সরকারের এই খরচ কি জনস্বার্থে ন্যায্য? এই টাকা কোথা থেকে আসছে তা স্পষ্ট হওয়া উচিত।”
সৌরভ দত্তের মতে, “এই অনুদান কি রাজনৈতিক স্বার্থে দেওয়া হচ্ছে? রাজ্যের সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা কি এইভাবে খরচ করা উচিত?” তাঁর দাবি, কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে এই খরচের উৎস ও ব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত করা উচিত।
আবার অনেকে বলছেন, “এই অনুদান ক্লাবগুলির জন্য বিশাল সাহায্য, যা তাদের পুজোর আয়োজন আরও বড় আকারে করতে সাহায্য করবে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে অনেক মানুষ উপকৃত হবেন।”
এই মামলার ফলাফল কী হবে তা সময়ই বলবে। কিন্তু এই ঘটনার পরেই সাধারণ মানুষের মনেও অনেক প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য সরকারের এই খরচের উৎস ও তা কতটা ন্যায্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই মামলার পরিণতি রাজ্যের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সাধারণ মানুষের জন্য, এই অনুদানের টাকার উৎস স্পষ্ট হওয়া উচিত এবং ক্লাবগুলি যেন এই টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে তাও নিশ্চিত করা উচিত।