Finally the caged tiger is baited by goats in Maypeeth সুন্দরবনের দক্ষিণ রায় তথা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের লোকালয়ে প্রবেশ করার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি মইপিঠ ও কুলতলী এলাকায় বাঘের বারবার প্রবেশ এবং তাণ্ডব এলাকাবাসীর মনে গভীর আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। বনদপ্তরের উদ্যোগে কয়েক দিনের চেষ্টার পর অবশেষে বাঘটি খাঁচায় বন্দি হওয়ায় এলাকাবাসী স্বস্তি পেয়েছেন।গত এক সপ্তাহে কিশোরীমোহনপুর ও নগেনাবাদ এলাকায় একাধিকবার বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল।

এতে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বনদপ্তর প্রথম থেকেই বাঘটিকে ফের জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করছিল, তবে বাঘটি বারবার লোকালয়ে ফিরে আসছিল।৬ জানুয়ারি, সোমবার: কিশোরীমোহনপুর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ প্রথম দেখা যায়।৮ জানুয়ারি, বুধবার: ভোররাতে বাঘ জঙ্গলে ফিরে যায়।৯ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার: মৈপিঠের নগেনাবাদে আবারও বাঘের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা যায়।
১০ জানুয়ারি, শুক্রবার: ভোর রাতে বাঘ ফের জঙ্গলে ফিরে যায়।১১ জানুয়ারি, শনিবার: কিশোরীমোহনপুর এলাকায় গঙ্গার ঘাটে বাঘের উপস্থিতি ধরা পড়ে।বনদপ্তর অবশেষে একটি বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। বাঘটিকে ধরার জন্য ছাগলকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে কাঁচা পাতা তৈরি করা হয়। বাঘটি অবশেষে সেই খাঁচায় বন্দি হয়।বাঘটি বন্দি হওয়ায় কিশোরীমোহনপুর ও মৈপিঠের বাসিন্দারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। ডিএফও নিশা গোস্বামী জানান, বাঘটিকে গভীর জঙ্গলে নিরাপদে ফিরিয়ে দেওয়াই বনদপ্তরের প্রধান লক্ষ্য। তবে এই ঘটনা এলাকার মানুষের মধ্যে বাঘের উপস্থিতি নিয়ে সচেতনতা এবং সতর্কতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

সুন্দরবনের বাঘের জন্য লোকালয়ে প্রবেশ সাধারণত খাদ্য সংকটের ইঙ্গিত দেয়, যা বনাঞ্চল রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।