Saturday, April 12, 2025
Google search engine
Homeঅন্যান্যপ্লাস্টিক দূষণ রুখতে শুরু পরিবেশ সচেতনতা মেলা

প্লাস্টিক দূষণ রুখতে শুরু পরিবেশ সচেতনতা মেলা





Environment awareness fair started to prevent plastic pollution:শীতকালের মেলাগুলোর মধ্যে এবার এক নতুন সংযোজন হলো পরিবেশ সচেতনতা মেলা। দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে পৌরসভার মাতা মুনমুন চ্যাটার্জির উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হলো এই মেলা। পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষকে সচেতন করা এবং প্লাস্টিক দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে জানানো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার পৌর পিতা ও অন্যান্য পৌর সদস্যরা।মুনমুন চ্যাটার্জি এদিন মেলার উদ্বোধনকালে বলেন, “আমাদের প্রতিদিনের জীবনে প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা আর অবহেলা করা সম্ভব নয়। প্লাস্টিক জঞ্জালের কারণে মাটির উর্বরতা কমছে, জলাশয় দূষিত হচ্ছে, এবং সমুদ্রজীবনের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।

আমরা যদি এখনই সচেতন না হই, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।”পরিবেশ মেলায় স্থানীয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশবান্ধব প্রকল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে তারা প্লাস্টিক বিকল্প যেমন পাটের ব্যাগ, কাগজের থালা, এবং বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র প্রদর্শন করেছে। এছাড়াও, মেলায় পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বিশেষ কর্মশালা ও আলোচনা সভার ব্যবস্থা করা হয়েছে।মেলা ঘুরতে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।স্থানীয় এক গৃহবধূ, শর্মিষ্ঠা সেন, বলেন, “এমন মেলা আরও হওয়া উচিত। এখানে এসে বুঝতে পারলাম, প্লাস্টিক কতটা ক্ষতিকারক। আমি এখন থেকে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করব।একইসঙ্গে, মেলার উদ্যোক্তারা শিশুদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য বিশেষ কর্মসূচি চালু করেছেন।

images?q=tbn:ANd9GcTX7JaFBWatOMzh9ekiI0GawCmZ3Z39irMI9g&s

শিশুদের জন্য ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা এবং পরিবেশ বিষয়ক কুইজ আয়োজন করা হয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৯.৪ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, যার মাত্র ৬০% পুনর্ব্যবহার করা হয়। বাকি ৪০% প্লাস্টিক আবর্জনা জমা হয় ডাম্পিং গ্রাউন্ড বা নদী-সমুদ্রে, যা পরিবেশের জন্য বড় বিপদ।এই ধরনের মেলা শুধুমাত্র পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। দক্ষিণ দমদম পৌরসভা এই মেলার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি বড় বার্তা দিয়েছে। যদি অন্য পৌরসভাগুলোও এমন উদ্যোগ নেয়, তাহলে সারা দেশেই পরিবেশ সুরক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।পরিবেশ সচেতনতা মেলার মতো উদ্যোগ আমাদের ভবিষ্যৎকে সুন্দর করে তুলতে পারে। প্লাস্টিক দূষণের হাত থেকে প্রকৃতিকে বাঁচাতে আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। মুনমুন চ্যাটার্জির মতো নেতাদের সাহসী উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে যে প্রভাব ফেলছে, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। প্লাস্টিক বর্জনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এই মেলা স্থানীয় মানুষদের জীবনে একটি নতুন দিক উন্মোচন করেছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments