Earth is on the verge of destruction! A giant asteroid is approaching: সম্প্রতি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বজুড়ে। জানা গেছে, একটি বিশালাকার গ্রহাণু, যার নাম ‘সিটি কিলার’, পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করতে চলেছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, ২০২৩ ডিজেড-২ নামের এই গ্রহাণুর আকার ৪০ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে, যা পৃথিবীর যে কোনো বড় শহরকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। তবে আশার খবর, এই মুহূর্তে এটি পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ ঘটাবে না বলেই জানিয়েছেন মহাকাশ গবেষকরা। তা সত্ত্বেও, এই ঘটনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, কারণ এটি চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে মাত্র ১,৬৮,০০০ কিলোমিটার দূরত্ব দিয়ে যাবে, যা মহাজাগতিক মানদণ্ডে অত্যন্ত নিকটবর্তী। এই ধরনের ঘটনা বিরল, তাই বিজ্ঞানীরা এই মহাজাগতিক ঘটনার উপর নজর রাখছেন।মহাকাশ গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, এই ‘সিটি কিলার’ গ্রহাণু এতটাই উজ্জ্বল যে, শুক্রবারের সন্ধ্যায় এটি খালি চোখেও দেখা যেতে পারে। অনেকেই এই মহাজাগতিক ঘটনাকে বিরল ও ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করছেন। তবে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, কারণ অতীতেও পৃথিবীতে গ্রহাণুর আঘাত বহুবার ঘটেছে এবং সেইসব ধ্বংসযজ্ঞের নজির রয়েছে। মনে করা হয়, ডাইনোসরদের বিলুপ্তির অন্যতম কারণ ছিল এক বিশাল গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত হানা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বিপদের কিছু নেই, তবে ভবিষ্যতে পৃথিবীর কক্ষপথে এ ধরনের গ্রহাণুর উপস্থিতি বড় কোনো বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানীরা এই ধরনের মহাজাগতিক ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি, নাসা “ডার্ট” মিশনের মাধ্যমে সফলভাবে একটি গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তন করে দেখিয়েছে, যা ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য বড় আশার কথা। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো স্থায়ী সমাধান মেলেনি, তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহাকাশের এমন আচমকা হুমকি মোকাবিলা করার জন্য আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন।পৃথিবীর বুকে মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার জন্য অনেক জায়গায় পর্যবেক্ষণ শিবির তৈরি করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে মহাকাশপ্রেমীরা এই বিরল দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। এদিকে, অনেক ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ধরনের ঘটনা ‘প্রাকৃতিক সতর্কবার্তা’ হিসেবে ধরা হয়, যা মানব সভ্যতার জন্য কোনো বিশেষ বার্তা বহন করে। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর মহাকাশ পর্যবেক্ষণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা থেকে বিশ্বকে রক্ষা করা যায়।এখন প্রশ্ন উঠছে, ভবিষ্যতে যদি সত্যিই কোনো বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, তবে আমরা কি তা প্রতিরোধ করতে পারব? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা, তবে বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার জন্য। আপাতত, ‘সিটি কিলার’ গ্রহাণুর ভয় নেই, কিন্তু এ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়াটাই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।