Drugs recovered from the kulti, 2 arrested : আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত সালকানালি পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫০ গ্রাম ড্রাগস সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম হার্শকুমার বার্নওয়াল, যিনি কুলটি থানার আলডি এলাকার বাসিন্দা এবং এমডি ফারিকুল শেখ, যিনি মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লালগোলা থেকে এই ড্রাগস আনছিলেন ধৃতরা এবং এটি নিয়ামতপুর এলাকায় কাউকে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে এবং ড্রাগস বাজেয়াপ্ত করে। ধৃতদের আজ আসানসোল আদালতে তোলা হয়েছে এবং তাদের দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে এবং পুরো চক্রটি উদঘাটন করার জন্য তদন্ত চলছে।
এছাড়াও, আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ কালী পাহাড়ি এলাকায় আরেকটি অভিযান চালিয়ে ২০ কেজি গাঁজা সহ দু’জনকে আটক করেছে। ধৃতদের মধ্যে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা। তাদেরকেও আসানসোল আদালতে তোলা হয়েছে। এই দুটি ঘটনায় পুলিশ এলাকার মাদক সরবরাহ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে আরও সক্রিয় হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনা নিয়ে চিন্তিত। একজন বাসিন্দা অমল চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের এলাকা এতদিন শান্তিপূর্ণ ছিল। ড্রাগস বা মাদকের মতো অপরাধ এখানে বাড়ছে, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকারক।”
একইসঙ্গে, আরেকজন বাসিন্দা জানান, “পুলিশের এই অভিযান অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তবে, আমরা চাই এ ধরনের অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”
এই ধরনের ঘটনাগুলি শুধুমাত্র এলাকার আইনশৃঙ্খলায় প্রভাব ফেলছে না, বরং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মাদকের প্রভাব বাড়িয়ে দিচ্ছে। স্থানীয় সমাজকর্মী মিতা সেন বলেন, “মাদকাসক্তি বন্ধ করার জন্য শুধু পুলিশের অভিযান যথেষ্ট নয়। আমাদের তরুণদের সচেতন করতে হবে এবং মাদক বিরোধী প্রচার চালাতে হবে।

পুলিশ জানিয়েছে যে, নিয়মিত অভিযান চালানো হবে এবং মাদক পাচার বন্ধ করার জন্য গোপন সূত্র ব্যবহার করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা এই ধরনের অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই ধরনের অভিযান এবং গ্রেফতারের ঘটনাগুলি এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একযোগে কাজ করতে হবে যাতে তরুণ প্রজন্মকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করা যায়।