‘Drink the polluted water of Mahakumbh and show it’, Vishal Dadlani challenges Yogi:-২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলা উপলক্ষে গঙ্গার জলের মান নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, গঙ্গার জলে মলমূত্রের ব্যাকটেরিয়া এবং কলিফর্মের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। তবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই দাবিকে খারিজ করে দিয়ে বলেন, গঙ্গার জল সম্পূর্ণরূপে পান করার উপযোগী।
এই প্রেক্ষাপটে, সঙ্গীতশিল্পী বিশাল দাদলানি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লেখেন, “স্যার, আমরা আপনাকে বিশ্বাস করি। দয়া করে ক্যামেরার সামনে সরাসরি নদী থেকে এক ঢোক জল খেয়ে দেখান।” তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয় এবং বিভিন্ন মহলে আলোচনা সৃষ্টি করে।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীরা এই বিতর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। প্রয়াগরাজের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী রাজেশ কুমার বলেন, “গঙ্গার জল আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদি জল দূষিত হয়, তবে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।” অন্যদিকে, স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে যে, তারা গঙ্গার জলের মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এনজিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, মহাকুম্ভ মেলার আগে গঙ্গা এবং যমুনা নদীতে কোনও বর্জ্য ফেলা যাবে না এবং নিকাশির জলও যেন নদীতে না মেশে, তা নিশ্চিত করতে হবে। তারা আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, গঙ্গার জল পান এবং স্নানের উপযোগী কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এছাড়া, গঙ্গার জলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে দেখার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মহাকুম্ভ মেলার সময় কোটি কোটি পুণ্যার্থী গঙ্গায় স্নান করতে আসেন। তাদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য গঙ্গার জলের মান বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে যে, তারা গঙ্গার জলের মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে, বিশাল দাদলানির চ্যালেঞ্জ এবং এনজিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, গঙ্গার জলের মান নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে গঙ্গার জল পান করে তার বিশুদ্ধতা প্রমাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, কিছু মানুষ মনে করেন যে, গঙ্গার জলের মান উন্নয়নে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
এই বিতর্কের ফলে স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গঙ্গার জল তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং এর দূষণ তাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারকে এই বিষয়ে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যাতে গঙ্গার জলের মান উন্নত হয় এবং পুণ্যার্থীরা নিরাপদে স্নান করতে পারেন।
সামগ্রিকভাবে, গঙ্গার জলের মান নিয়ে এই বিতর্ক আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদগুলির সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। গঙ্গা শুধুমাত্র একটি নদী নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাই, এর সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ আমাদের সবার দায়িত্ব।