Distribution of blankets in Raniganj on the foundation day of Trinamool:রানীগঞ্জের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড বুধবার সকাল থেকেই উৎসবের আমেজে সরগরম ছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের ২৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সেখানে দলীয় পতাকা উত্তোলন ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনটি। এদিনের মূল আকর্ষণ ছিল প্রায় ৫০ জন দুস্থ মানুষের হাতে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ। এই উদ্যোগ শুধু প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন নয়, বরং তৃণমূলের আদর্শ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার এক কার্যকরী উদাহরণ হয়ে উঠেছে। রানীগঞ্জে এমন মহৎ কর্মসূচি যেমন মানুষের মন জয় করেছে, তেমনি দলীয় কর্মীদের মধ্যেও নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার করেছে।

কাউন্সিলর এবং তৃণমূল কর্মীরা জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছি। মা-মাটি-মানুষের সেবায় আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এই ছোট্ট প্রয়াসের মাধ্যমে আমরা মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধকে জাগ্রত রাখতে চাই।”
কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। তাঁরা জানান, “শীতকালের শুরুতেই এই কম্বল বিতরণ প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। অনেক মানুষ এখনো শীতের প্রকোপে ভোগেন, তাই এই সাহায্য তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগ রানীগঞ্জের মতো অঞ্চলে খুবই প্রয়োজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এই উদ্যোগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, “এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। এই ধরনের কাজ আরও প্রয়োজন।” আবার কেউ বলছেন, “কিছুটা রাজনীতি থাকলেও, প্রকৃত প্রয়োজনে এই সাহায্য আসলেই অনেকের উপকারে আসবে।”
এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের গুরুত্বও কম নয়। ১৯৯৮ সালে গঠিত তৃণমূল কংগ্রেস শুরু থেকেই বাংলার সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রাক্কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া বার্তায় তিনি বলেন, “মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা ভালো আছে। আগামী দিনেও আমাদের সংগ্রাম চলবে। নতুন দিনের আলো তৃণমূলের হাতেই থাকবে।”
এই কর্মসূচি থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকটাই উচ্ছ্বসিত। রানীগঞ্জের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের উদ্যোগ একদিকে যেমন মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে, তেমনি রাজনীতির প্রভাবকেও আরো দৃঢ় করে। কম্বল বিতরণ কর্মসূচি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি তৃণমূলের প্রতি স্থানীয় স্তরে আস্থা ও বিশ্বাস দৃঢ় করার একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তৃণমূল কর্মীরা আরও জানিয়েছেন যে এই উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। শুধু কম্বল বিতরণ নয়, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে তারা আরো অনেক প্রকল্প হাতে নিতে চলেছেন।
তৃণমূলের এই মানবিক উদ্যোগ ভবিষ্যতে অন্যান্য দল এবং সংস্থার জন্যও উদাহরণ হয়ে থাকবে। কম্বল বিতরণের মতো ছোটো পদক্ষেপও মানুষকে সহমর্মিতা এবং দায়িত্বশীলতার শিক্ষা দেয়। রানীগঞ্জের এই উদ্যোগ বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে মানবিকতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।