Dilip Ghosh will not be attending Modi’s meeting : দূর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক সভা। গোটা রাজ্য বিজেপি সেখানে হাজির। রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী— সকলেই মঞ্চে বা মঞ্চের আশেপাশে। কিন্তু নেই একজন— প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেন নেই তিনি? এই প্রশ্ন এখন ঘুরছে বঙ্গ রাজনীতির অলিগলিতে। দিলীপবাবুকে আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি! অথচ তিনি এক সময় রাজ্য বিজেপির মুখ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সংসদ সদস্য, সংগঠনের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। রাজনীতির উঠোনে এটি নিছক ‘উপেক্ষা’ নয়, বরং এক সুগভীর বার্তা।
শুক্রবার সকাল সকাল দিলীপ ঘোষ নিজেই সাংবাদিকদের জানিয়ে দিলেন, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন ‘পার্টির বিশেষ কাজে’। আর তারপরই প্রশ্ন উঠেছে— সত্যিই কি কাজের তাগিদে দিল্লি পাড়ি? নাকি দুর্গাপুরের সভা এড়াতে এই কৌশল? দিলীপবাবু স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, “আমি কর্মীদের ডাকে সভায় যাওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু পার্টি আমাকে ডাকেনি। গেলে অস্বস্তি হবে, তাই যাচ্ছি না।” তাঁর এই বক্তব্যেই যেন দলীয় অন্দরের চোরা টানাপোড়েন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল। রাজনৈতিক মহল বলছে, বিজেপির এই ‘অস্বস্তি’ আসলে অনেক দিন ধরেই জমে উঠছিল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে সস্ত্রীক হাজির হওয়া— ছিল সেই আগুনে ঘি ঢালা। দল সেই সময় স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, দিলীপের ওই যাত্রায় দলীয় সম্মতি ছিল না। এমনকি দল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অনুষ্ঠানটি বয়কট করার, আর সেখানে হাজির হয়ে দিলীপ ঘোষ কার্যত দলীয় অনুশাসন ভেঙেছেন। তার ফলশ্রুতিতেই শুরু হয় একের পর এক দলীয় কর্মসূচিতে তাঁর অনুপস্থিতি। শোনা যায়, দলের বৈঠকেও তাঁকে আর ডাকা হচ্ছে না। নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, সেই স্বাগত সভাতেও দিলীপ অনুপস্থিত ছিলেন।