Devastating fire in Frasergunj:দক্ষিণ ২৪পরগনার নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একটি বসতি মুহূর্তের মধ্যে আগুনের গ্রাসে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার গভীর রাতে আচমকাই এক বাড়ি থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, ফলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তৎপর হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন দমকল বাহিনীকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় বাড়ির সদস্যরা কেউই বাড়ির ভেতরে ছিলেন না, ফলে হতাহতের কোনো খবর নেই। তবে বাড়ির ভিতরে থাকা যাবতীয় আসবাবপত্র, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং মূল্যবান কাগজপত্র সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এখন কার্যত সর্বস্বান্ত। একমাত্র বসতভিটে হারিয়ে পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণেই আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনে ছুটে আসি, দেখি আগুন লেগে গেছে। আমরা নিজেরাই যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছি নেভানোর, কিন্তু আগুন এতটাই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল যে কিছুই করতে পারিনি।”
খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছায় দমকল বাহিনীর একটি ইঞ্জিন। দীর্ঘ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে ততক্ষণে বাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, আগুন শর্ট সার্কিট থেকেও লাগতে পারে, যদিও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশ।
এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “এই পরিবারটি অত্যন্ত গরিব, এখন তাদের মাথার ওপর ছাদটুকুও নেই। প্রশাসন যাতে দ্রুত সাহায্য করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি।” স্থানীয় বাসিন্দারাও প্রশাসনের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন।
এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন কীভাবে এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ায় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড এড়াতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।ই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দ্রুত সাহায্য করা। বাড়ি পুনর্নির্মাণ, খাবার, ওষুধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। পাশাপাশি, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানতে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।
ফ্রেজারগঞ্জের এই মর্মান্তিক ঘটনার পর এখন সবাই চাইছে, প্রশাসন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়। এখন দেখার বিষয়, কতটা দ্রুত সরকার এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে।ই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দ্রুত সাহায্য করা। বাড়ি পুনর্নির্মাণ, খাবার, ওষুধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। পাশাপাশি, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানতে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।
ফ্রেজারগঞ্জের এই মর্মান্তিক ঘটনার পর এখন সবাই চাইছে, প্রশাসন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়। এখন দেখার বিষয়, কতটা দ্রুত সরকার এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে।