The political community is saddened by the untimely death of Raniganj’s councilor রানীগঞ্জের 93 নম্বর ওয়ার্ডের পৌর পিতা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক এবং অবিসংবাদিত নেতা অলক বসুর অকাল প্রয়াণে রানীগঞ্জ বাসী শোকাহত। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুরো এলাকার মানুষ গভীর শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। রাজনীতি মহলেও নেমে আসে শোকের ছায়া। অলক বসু ছিলেন রানীগঞ্জের অন্যতম শ্রদ্ধেয় নেতা, যিনি শুধু রাজনীতিতেই নয়, সমাজসেবাতেও ছিলেন অগ্রণী। তাঁর প্রয়াণে রানীগঞ্জের রাজনৈতিক পথ প্রদর্শক হিসেবে জেলার অন্যতম মানুষকে হারিয়েছে এলাকাবাসী।
অলোক বসুর শবদেহ প্রথমে নিয়ে আসা হয় আনন্দলোকের নিকটবর্তী তাঁর নতুন বাড়িতে। সেখানে আসানসোল কর্পোরেশনের মেয়র বিধান উপাধ্যায় এবং রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, রানীগঞ্জ মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের বোরো টু চেয়ারম্যান মোজাম্মেল সাহাজাদা আনসারী, রানীগঞ্জ ব্লক প্রেসিডেন্ট রুপেশ যাদব, এমএমআইসি সুব্রত অধিকারী, এমএমআইসি দিব্যেন্দু ভকত সহ বহু রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা শবদেহে মাল্য দিয়ে শ্রদ্ধার্গ নিবেদন করেন। তাঁদের মধ্যে থেকে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, “অলোক বসু শুধু একজন নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমাদের সকলের প্রিয় সমাজসেবী। তাঁর মৃত্যুতে আমরা শুধু একজন নেতা নয়, একজন সঠিক পথপ্রদর্শককে হারালাম।”

এরপর অলোক বসুর শবদেহ TDB কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা এবং কলেজের অন্যান্য কর্মীরাও তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে শবদেহ রানীগঞ্জ মিউনিসিপাল বোরো টু অফিস হয়ে রানীগঞ্জ বল্লভপুর শ্মশান ঘাটে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানে তাঁর শেষকৃত্য সমাপ্ত হয়।
অলোক বসুর মৃত্যুতে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “তিনি আমাদের সবার প্রিয় মানুষ ছিলেন। তাঁর উদ্যোগে রানীগঞ্জে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। তাঁর প্রয়াণে আমরা সত্যিই একজন অভিভাবককে হারিয়েছি।” এলাকাবাসীর মধ্যে অলোক বসুর প্রতি ছিল অসীম শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা। তাঁর নেতৃত্বে রানীগঞ্জে বিভিন্ন সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
রানীগঞ্জের জনগণের জন্য তাঁর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি ছিলেন একজন নেত্রীত্বপূর্ণ ব্যক্তি যিনি সবসময় জনগণের স্বার্থে কাজ করতেন। তাঁর নেতৃত্বে রানীগঞ্জের মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে। তাঁর প্রয়াণে এলাকাবাসী এক বিশাল শূন্যতার সম্মুখীন হয়েছে। তাঁর সেবামূলক কাজগুলি মানুষ দীর্ঘদিন মনে রাখবে।

এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, অলোক বসুর অনুপস্থিতিতে রানীগঞ্জের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। তাঁর অনুপস্থিতিতে কে এই শূন্যতা পূরণ করতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের মধ্যেই।
এই শোকাবহ সময়ে আমরা আশা করি, রানীগঞ্জের জনগণ একত্রিত হয়ে অলোক বসুর অসমাপ্ত কাজগুলি এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং তাঁর স্মৃতিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে বরণ করবে। তাঁর আদর্শ ও নেতৃত্ব অনুসরণ করে তাঁকে সঠিকভাবে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
আরও পড়ুন : রাতে অফিসের ডিউটি ও তার স্বাস্থ্য প্রভাব