Deadlock continues in Tolipara, Prosenjit-Gautam-Sivaprasad calls for quick start of shooting: টলিপাড়ায় অচলাবস্থা অব্যাহত। সপ্তাহের শুরুর দিনেও বন্ধ রইল শ্যুটিং। সোমবার দুপুরে একটি বৈঠক দেখা হয়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সেখানে হাজির ছিলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত মোহতা, রাজ চক্রবর্তী, গৌতম ঘোষ, বিরসা দাশগুপ্ত, সুদেষ্ণা রায়, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, সুব্রত সেন ও অন্যান্যরা। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল টলিপাড়ায় শ্যুটিংয়ের অচলাবস্থা কাটিয়ে তোলা এবং টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ শুরু করা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গৌতম ঘোষ বলেন, “বর্তমানে প্রযুক্তির একটা বড় পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তাই নিয়মগুলো রিভিউ করা দরকার। নাহলে আমরা এগোতে পারব না। টেকনিশিয়ান, অ্যাক্টর, ডিরেক্টর সবাই একটা ইউনিট। একটা ভায়োলিন যদি বেসুরো বাজে, অর্কেস্ট্রা নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের এভাবে ভাবতে হবে।”
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সকলের মনেই একটা প্রশ্ন রয়েছে, আগামীকাল থেকে এই অচলাবস্থা কাটবে কি না? শুনেছি আমাদের টেকনিশিয়ান ভাইয়েরা এক জায়গায় জড়ো হচ্ছেন। তাঁরা আশা করি নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। আমাদের ডিরেক্টর টেকনিশিয়ান ভাইয়েদের কাছে আমাদের একটাই আবেদন, আমাদের আলাদা করবেন না ভাই। কারণ আমরাও টেকনিশিয়ান। আপনাদের সঙ্গে যাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারি, এটাও মাথায় রাখবেন। আজকেই আমরা যদি একটু বসে নিতে পারি, তাহলে খুব ভাল হয়।”

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা আমার বাড়ি। আমরা সবাই মিলে অচলাবস্থা কাটানোর জন্যই একটা আলোচনায় বসেছি। আমাদের এখানে ভূমিকা, ইন্ডাস্ট্রিতে ৪০-৫০ বছর কাজ করার পরে আমরা একটা পরিবারের মতোই। আমরা সারাজীবন লড়াই করেছি টেকনিশিয়ান্সদের জন্য। আমরা মনে করি টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে থাকা, তাঁদের সাহায্য করা আমাদের ধর্ম। আমরা এখন যে জায়গাটায় দাঁড়িয়ে আছি সেখানে তো মানসম্মানের লড়াই চলছে। পরিবারে মান-সম্মান, অভিমান থাকবেই। কিন্তু তার জন্য তো পরিবারটা ভেঙে যায় না।”
এই মন্তব্যগুলি থেকে স্পষ্ট যে, গৌতম ঘোষ থেকে শুরু করে শিবপ্রসাদ, প্রসেনজিৎ ও অন্যান্যরা শ্যুটিং থামিয়ে দেওয়া তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। বরং তাঁরা চান টেকনিশিয়ানরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সবাই একসঙ্গে আসুক এবং হাতে হাত দিয়ে কাজ শুরু করা যায়।
টলিপাড়ার এই অচলাবস্থা কাটানোর জন্য টেকনিশিয়ানদের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেকনিশিয়ানরা যদি শ্যুটিং শুরু না করেন, তবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেক প্রকল্পই বন্ধ হয়ে যাবে। এতে শুধু প্রযোজক এবং পরিচালক নয়, অনেক অভিনেতা, কর্মী এবং তাদের পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সকলেই চান এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক।
টলিপাড়ার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অনেক প্রতিভাবান টেকনিশিয়ান এবং কলাকুশলীদের নিয়ে গঠিত। তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায়ই আমরা দেখতে পাই একের পর এক সফল সিনেমা। এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য সকলের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমঝোতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
টেকনিশিয়ানদের এই সমস্যার সমাধানের জন্য একতা এবং সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি, সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় এই অচলাবস্থা দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে এবং টলিপাড়ার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আবার স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে আসবে।

টলিপাড়ার এই অচলাবস্থার সমাধান না হলে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হতে পারে। তাই সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান জরুরি। আমরা আশা করি, টেকনিশিয়ানরা শীঘ্রই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একটি সমাধান বের করবেন এবং শ্যুটিং আবার শুরু হবে।
এই অচলাবস্থার প্রভাব শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। টলিপাড়ার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত অনেক ছোট ব্যবসা এবং কর্মচারীরাও এই অচলাবস্থার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।
আমরা আশা করি, সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় টলিপাড়ার এই অচলাবস্থা দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে এবং আমরা আবার স্বাভাবিক শ্যুটিং দেখতে পাবো। টলিপাড়ার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সমৃদ্ধি এবং উন্নতি আমাদের সবার কাম্য।