Daylight shooting, live shootout in Patna!: পাটনার কঙ্করবাগ থানা এলাকায় প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর গুলিবর্ষণের ঘটনা, যা পুরো শহরকে নাড়িয়ে দিয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী পরিকল্পিতভাবে একটি নির্দিষ্ট বাড়িতে হামলা চালায় এবং এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে এদিক-ওদিক ছুটতে শুরু করেন, দোকানপাট হুড়মুড়িয়ে বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, হামলাকারীরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল এবং সুযোগ বুঝে আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে। এই ঘটনায় বাড়ির মালিকসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই পাটনা পুলিশ এবং বিহারের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে।
অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে শুরু হয় অভিযান এবং ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মূলত জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই হামলা চালানো হয়েছে, তবে এর পেছনে বড় কোনো অপরাধচক্র জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা গাড়িতে করে আসে এবং বাড়ির সামনে নেমেই গুলি চালাতে শুরু করে, তারপর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে, স্থানীয়রা পুলিশের কাছে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি তুলেছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা রাজেশ কুমার বলেন, “এত বছর ধরে এখানে থাকছি, কখনো ভাবিনি দিনের আলোয় এমন ঘটনা ঘটবে।

আজ যদি পুলিশ তৎপর না হত, পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারত।” অন্যদিকে, এক ব্যবসায়ী মনোজ প্রসাদ বলেন, “গুলির শব্দ শোনার পর আমি দোকান বন্ধ করে ভিতরে আশ্রয় নিই, মনে হচ্ছিল প্রাণ বাঁচানো দায় হয়ে যাবে।” পুলিশ আধিকারিকদের মতে, এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে দুষ্কৃতীদের মূল উদ্দেশ্য জানা যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিহারে জমি সংক্রান্ত বিবাদের কারণে অপরাধ প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে এবং এই ধরনের ঘটনা রুখতে প্রশাসনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে পুরো কঙ্করবাগ এলাকায় পুলিশের টহলদারি আরও বাড়ানো হবে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ নজরদারিতে রাখা হবে। যদিও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তবু স্থানীয় বাসিন্দারা এখনো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। পুলিশের তরফ থেকে সকলকে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।