Dadagiri of the Trinamool leader at the petrol pump!:আসানসোল দক্ষিণ থানার অধীনে আশ্রম মোড় এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে তৃণমূল নেতার দাদাগিরির অভিযোগে তোলপাড় চলছে। সম্প্রতি এক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম এবং তাঁর কিছু অনুগামী একটি পেট্রোল পাম্পে চড়াও হয়েছেন এবং কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ নভেম্বর, যখন এক মোটরবাইক আরোহীর সঙ্গে পেট্রোল পাম্প কর্মীদের কথাকাটাকাটি শুরু হয় পেট্রোল ভরাকে কেন্দ্র করে।প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মোটরবাইক আরোহীর সঙ্গে ঝগড়ার খবর পাওয়া মাত্রই রবিউল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হন এবং তার সঙ্গে আরও কয়েকজন সহযোগীও ছিলেন। অভিযোগ, তারা পাম্পে প্রবেশ করে কর্মীদের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হন এবং একজন কর্মীকে চড় মারার ঘটনাও ঘটেছে। এসময় রবিউল ইসলামের পক্ষ থেকে কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। যদিও তৃণমূল নেতা রবিউল ইসলাম এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এবং এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
পাম্পের মালিক সুবীর সাহা বলেন, “এই ঘটনা আমাদের সকলকে আতঙ্কিত করেছে। আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে এখন আমরা চিন্তিত। স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে আমরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি এবং আমরা আশা করছি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এই ঘটনার পর কর্মীদের মধ্যে একধরনের ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের পাম্পে কর্মরতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন খুবই প্রয়োজন।”এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। আসানসোল দক্ষিণ থানা ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং পেট্রোল পাম্পে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাস জানান, “এই ধরনের ঘটনা সাধারণ মানুষের জন্য এক বিরাট আশঙ্কার কারণ। আমরা এখানে নিরাপদে থাকতে চাই, কিন্তু রাজনীতির আড়ালে এমন দাদাগিরি চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?”তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগে বিরোধী দলগুলি কড়া সমালোচনা করেছে। বিজেপি নেতা প্রদীপ ঘোষ বলেছেন, “এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানুষের ওপর দাদাগিরি চালানো। এই ধরনের ঘটনা মানুষের অধিকার হরণ করে এবং আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”রবিউল ইসলাম যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কিন্তু তার প্রভাবশালী অবস্থানের জন্য পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছে যে, এই ধরনের ঘটনাগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং আসন্ন নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে।
এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে একটা আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এই ধরনের নেতিবাচক আচরণ দেখে রাজনীতিবিদদের প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা কমছে। বিশ্লেষকদের মতে, যদি প্রশাসন এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এর প্রভাব ভবিষ্যতে আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।