Monday, May 26, 2025
Google search engine
Homeটপ 10 নিউসপাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার CRPF জওয়ান

পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার CRPF জওয়ান

CRPF jawan arrested on charges of spying for Pakistan:২০২৫ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। CRPF-এর একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (ASI) মোতি রাম জাটকে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) গ্রেফতার করে। অভিযোগ, তিনি ২০২৩ সাল থেকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গোপন তথ্য পাচার করছিলেন। এই তথ্যের বিনিময়ে তিনি আর্থিক সুবিধা পেতেন বলে জানা গেছে। NIA-এর তদন্তে উঠে এসেছে, মোতি রাম জাট বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাতেন। তাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পাতিয়ালা হাউস কোর্ট তাকে ৬ জুন পর্যন্ত NIA-এর হেফাজতে পাঠিয়েছে।

এই ঘটনা সামনে আসার পর, দেশের বিভিন্ন অংশে আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে মোট ১২ জনকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এই গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা, একজন পিজি ছাত্র, ব্যবসায়ী এবং নিরাপত্তা রক্ষী। তদন্তে জানা গেছে, এরা সবাই পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গোপন তথ্য পাচার করতেন।

বিশেষ করে, ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি পাকিস্তানের একজন দূতাবাস কর্মচারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং তার মাধ্যমে গোপন তথ্য পাচার করতেন বলে অভিযোগ। তদন্তে উঠে এসেছে, এই গোয়েন্দা নেটওয়ার্কটি ‘অপারেশন সিঁদুরে’ নামে একটি সামরিক অভিযানের সময় সক্রিয় ছিল এবং ভারতের বিভিন্ন সামরিক তথ্য পাকিস্তানে পাচার করছিল।

এই ঘটনার পর, দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি আরও সতর্ক হয়েছে। NIA, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে। তারা মোতি রাম জাটের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তদন্তকারীরা বলছেন, এই গোয়েন্দা নেটওয়ার্কটি উত্তর ভারতে সুসংগঠিতভাবে কাজ করছিল এবং এর সঙ্গে আরও অনেক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। নাগরিকরা প্রশ্ন তুলছেন, কীভাবে একজন CRPF জওয়ান এতদিন ধরে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করতে পারলেন এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তা জানতে পারল না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এই ঘটনার পর, দেশের বিভিন্ন অংশে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি নজরদারি বাড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, যাতে কেউ গোপন তথ্য পাচার করতে না পারে। সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং সন্দেহজনক কিছু দেখলে তা সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও সতর্কতা এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন প্রয়োজন। নাগরিকদের সচেতনতা এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলির দক্ষতা বাড়িয়ে তবেই এমন ঘটনা রোধ করা সম্ভব।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments