CPI(M) campaign rally in Shantipur sparks outrage with attacks, beatings and vandalism:নদিয়ার শান্তিপুর এলাকায় চলছিল সিপিআইএমের ‘বাংলা বাঁচাও’ অভিযানের প্রচার। আগামী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচারযুদ্ধ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি প্রচার, ছোট সভা ও প্রচারযান নিয়ে জনসংযোগ চলছে। এমনই একটি প্রচারের মাঝেই হঠাৎ ঘটে যায় উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা, যা মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দেয়।সকাল ১১টা থেকে প্রচার শুরু করেছিলেন সিপিআইএমের হরিপুর অঞ্চল কমিটির কর্মীরা। চারচাকা গাড়ি ও মাইক নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে বিকেল নাগাদ তাঁরা পৌঁছন বাগ দেবীপুরে। কিন্তু সেখানেই পরিস্থিতি বদলে যায়।অভিযোগ, উল্টো দিক থেকে মোটরবাইকে করে কয়েকজন যুবক এসে প্রচার গাড়ির সামনে দাঁড়ায়। তাঁদের আচরণ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল। প্রথমেই গাড়ির চালককে নামিয়ে মারধর শুরু করে দুষ্কৃতীরা। এরপর গাড়িতে থাকা অন্যান্য সিপিআইএম কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। প্রচারের মাইক ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আকস্মিক আক্রমণে আতঙ্কিত হয়ে বেশ কয়েকজন কর্মী প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়ে পালান।
হামলাকারীরা তাণ্ডব চালিয়ে দ্রুত এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়।ঘটনার খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তদন্ত শুরু করে। কারা এই হামলার পিছনে রয়েছে, কেনই বা রাজনৈতিক প্রচারে এমন নৃশংস আক্রমণ—সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।ঘটনার পরে এলাকায় দেখা যায় আতঙ্ক ও ক্ষোভ দুটোই। অনেকেই বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু এমন হামলা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে কলঙ্কিত করে। সাধারণ মানুষ প্রচার-অভিযানের এই ধরনের সহিংসতাকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেও উল্লেখ করেন।নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক অশান্তি ও সংঘর্ষের ঘটনা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে। শান্তিপুরের এই হামলা সেই ধারাবাহিকতারই আরেকটি নজির বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। সিপিআইএমের অভিযোগ অনুযায়ী, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনায় জড়িত।
যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, কিন্তু ঘটনার ধরন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হয়।এ ধরনের হামলা জনসংযোগ ও সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক অংশগ্রহণে ভীতি তৈরি করতে পারে। একইসঙ্গে, প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করে।পুলিশ তদন্তে দ্রুত ফলাফল এলে হামলাকারীদের পরিচয় পরিষ্কার হবে এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা হলেও কমতে পারে। তবে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই বিরোধী দলের প্রচার আরও সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের উপরও নজর থাকবে, তারা কত দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।শান্তিপুরের বাগ দেবীপুরে সিপিআইএমের প্রচারে হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। তদন্ত শুরু হলেও প্রশ্ন রয়ে গেছে—কবে শেষ হবে নির্বাচনী সহিংসতার এই চক্র? সাধারণ মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তাই এখন সবচেয়ে বড় চাওয়া।



