Sunday, April 13, 2025
Google search engine
Homeঅন্যান্যঅজানা রোগে মৃত্যু হচ্ছে মুরগির,মাথায় হাত খামারিদের

অজানা রোগে মৃত্যু হচ্ছে মুরগির,মাথায় হাত খামারিদের

Chickens are dying of an unknown disease, farmers are worried:পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের নতুনগ্রামে গিয়ে দেখা গেল, গ্রামে বেশ কিছু খামারি আছেন। তাঁদের প্রায় সবার খামারেই গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার মুরগি মারা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ছোট মুরগি থেকে বড় মুরগি– সব ধরনের মুরগিই আক্রান্ত হচ্ছে। মুরগিগুলির প্রথমে ঝিমুনির মতো হতে দেখা যাচ্ছে। পরে ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে ঝিমোতে থাকা মুরগিগুলি। কোনো চিকিৎসাই কাজে আসছে না।

images?q=tbn:ANd9GcQcsmo1cnnIbsCeT9nefrZMB3lYuJk3T V54GQi2ZkqgiKgKH3vqqqabZE vJFoaLm NKE&usqp=CAU

এদিকে, জেলায় বেশিরভাগ খামারিই এখন ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’য়ের মাধ্যমে মুরগি চাষ করেন। সেক্ষেত্রেও তাঁদের নিজেদের খাটুনি, লেবার চার্জ এবং তুষের জন্য বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়। কিন্তু সেই সব খরচই মাঠে মারা যাচ্ছে। এইসব মৃত মুরগি গর্ত করে মাটিতে পুঁতে দিচ্ছেন খামারিরা। যাতে এই মুরগিগুলি থেকে আর কোনো ভাবে কোনও রোগ না ছড়িয়ে পড়ে!

খামারিরা জানাচ্ছেন, রোগ হলে কোম্পানির লোক আসছেন। কিছু ওষুধ প্রয়োগ করছেন তাঁরা। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই সব ওষুধে তেমন কাজ হচ্ছে না। আর যেসব খামারি ব্যক্তিগতভাবে চাষ করেন তাঁদের তো বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এর ফলে তাঁদের সংসার চালাতে বড় সমস্যা হচ্ছে। খামারিরা লক্ষ্য করেছেন, ছোট থেকে বড়—সব ধরনের মুরগিই প্রথমে ঝিমুনি ও অবসন্নতার লক্ষণ প্রদর্শন করছে, যা পরবর্তীতে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কোনো চিকিৎসাই এই পরিস্থিতিতে কার্যকর হচ্ছে না, ফলে খামারিরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন

। বিশেষজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসক ডা. পার্থ সরকার জানান, “পশ্চিমবঙ্গে এখনও বার্ড ফ্লুর কোনো ঘটনা নথিভুক্ত হয়নি। আবহাওয়ার পরিবর্তন, আলো কমবেশি হওয়া বা সঠিক ওষুধ ও পরিচর্যার অভাবে মুরগি মারা যেতে পারে। সঠিকভাবে পরীক্ষা না করে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।” খামারিরা মৃত মুরগিগুলোকে মাটিতে পুঁতে দিচ্ছেন যাতে রোগের বিস্তার রোধ করা যায়। তবে, এই অজানা রোগের প্রকৃত কারণ নির্ধারণ ও প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে, স্থানীয় অর্থনীতি ও পোলট্রি শিল্পে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

images?q=tbn:ANd9GcQMF8ss1Ze679aoM0yHbOmPie0EgM4S0FBWAw&s

কোনো চিকিৎসাই এই পরিস্থিতিতে কার্যকর হচ্ছে না, ফলে খামারিরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসক ডা. পার্থ সরকার জানান, “পশ্চিমবঙ্গে এখনও বার্ড ফ্লুর কোনো ঘটনা নথিভুক্ত হয়নি। আবহাওয়ার পরিবর্তন, আলো কমবেশি হওয়া বা সঠিক ওষুধ ও পরিচর্যার অভাবে মুরগি মারা যেতে পারে। সঠিকভাবে পরীক্ষা না করে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।” খামারিরা মৃত মুরগিগুলোকে মাটিতে পুঁতে দিচ্ছেন যাতে রোগের বিস্তার রোধ করা যায়। তবে, এই অজানা রোগের প্রকৃত কারণ নির্ধারণ ও প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে, স্থানীয় অর্থনীতি ও পোলট্রি শিল্পে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments