Burglary at Kalibari near Gammon Bridge in Durgapur:দুর্গাপুরে কোক ওভেন থানা এলাকার গ্যামন ব্রিজ সংলগ্ন কালীবাড়িতে এক চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় মানুষ, বিশেষত গ্যামন ব্রিজ অঞ্চলের বাসিন্দারা এ নিয়ে গভীর উদ্বেগে আছেন। ঘটনা ঘটেছে গতকাল রাতে, যখন দুষ্কৃতীরা কালীমন্দিরে প্রবেশ করে মা কালীর গয়না ও ক্যাশ টাকা নিয়ে পালায়। স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা রায় জানালেন, মন্দিরের একজস্ট ফ্যান ভেঙে দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল এবং মা কালীর সমস্ত গয়না ও প্রায় এক লক্ষ টাকার মতো সম্পত্তি নিয়ে যায়। এই চুরির ঘটনায় এলাকা জুড়ে আতঙ্কের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে, এবং স্থানীয়রা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। মন্দিরে যে গয়না ও টাকা ছিল, তা সারা বছর ধরে ভক্তদের দান থেকে সংগৃহীত হয়েছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে একটি রড ও কোদাল সংগ্রহ করেছে, যা চোরেরা সম্ভবত ভাঙচুরের জন্য ব্যবহার করেছিল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ সংলগ্ন কালীবাড়ি এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরেই অপরাধপ্রবণ এলাকায় পরিণত হয়েছে। যদিও মন্দিরটি ঐতিহাসিক, স্থানীয়দের মধ্যে আধ্যাত্মিক বিশ্বাস এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত, তারপরেও গত কয়েক বছরে মন্দিরের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। কল্পনা রায় বলেন, “আমাদের মায়ের গয়না এবং দানের টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আমাদের সবার হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে। এ ঘটনা আমাদের খুব কষ্ট দিয়েছে এবং আমরা চাই দুষ্কৃতীদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হোক।” অন্য একজন বাসিন্দা যোগ করেন, “এলাকার মানুষ এখন রাত্রিবেলায় মন্দিরের দিকে যেতে ভয় পাচ্ছেন। পুলিশের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার।”

গ্যামন ব্রিজ দুর্গাপুর শহরের অন্যতম প্রধান সংযোগস্থল এবং প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই সেতু ব্যবহার করেন। এই ব্রিজের আশেপাশের এলাকাটি বহুদিন ধরেই অনিরাপদ বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এই এলাকায় স্থানীয় ও বাইরের লোকজনের সন্দেহজনক চলাচল দেখা যায়। দুর্গাপুর শহরের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে এই ব্রিজের গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরাধী কর্মকাণ্ড দিন দিন বাড়ছে, যার ফলে সাধারণ মানুষও নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই চুরির ঘটনা তাদের সেই উদ্বেগকেই আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এবং এই ঘটনায় সন্দেহভাজনদের খোঁজ করছে। কোক ওভেন থানার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা ঘটনাস্থল থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করেছি। তদন্ত চলছে এবং আমরা শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের ধরতে সক্ষম হবো বলে আশাবাদী।” পুলিশ জানিয়েছে, মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তারা স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং প্রয়োজনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করছে। পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা চেয়েছে এবং সন্দেহজনক কিছু দেখলে বা জানলে পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করেছে।
এই চুরির ঘটনার পর অনেকেই মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য আওয়াজ তুলেছেন। একাংশের মতে, রাতের বেলায় মন্দিরের পাহারার ব্যবস্থা করা উচিত এবং আরও ভালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত। সাধারণ মানুষও চান, এই ধরনের পবিত্র স্থানে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হোক। বিশেষ করে দানের অর্থ ও মায়ের গয়না যেভাবে চুরি হয়েছে, তাতে তাদের বিশ্বাসে আঘাত লেগেছে এবং এলাকায় মানসিক উদ্বেগের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের অপরাধের পিছনে স্থানীয় অপরাধীদের পাশাপাশি বাইরের কিছু চক্রও থাকতে পারে। অতীতে এই এলাকায় বেশ কয়েকটি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে এবং তা সমাধানে পুলিশের উদ্যোগ কম বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। দুর্গাপুরের মতো শিল্পনগরীতে একাধিক অপরাধমূলক চক্র সক্রিয় এবং এই চুরির ঘটনাকে এরই একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশি নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং রাতের বেলায় টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই এই ঘটনার মূল হোতাদের গ্রেফতার করা হবে এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, শুধুমাত্র গ্রেফতার করাই নয়, প্রয়োজন স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতি করা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের অপরাধের পিছনে স্থানীয় অপরাধীদের পাশাপাশি বাইরের কিছু চক্রও থাকতে পারে। অতীতে এই এলাকায় বেশ কয়েকটি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে এবং তা সমাধানে পুলিশের উদ্যোগ কম বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। দুর্গাপুরের মতো শিল্পনগরীতে একাধিক অপরাধমূলক চক্র সক্রিয় এবং এই চুরির ঘটনাকে এরই একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশি নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং রাতের বেলায় টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই এই ঘটনার মূল হোতাদের গ্রেফতার করা হবে এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, শুধুমাত্র গ্রেফতার করাই নয়, প্রয়োজন স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতি করা