Book fair begins in Asansol: আসানসোলের বইপ্রেমীদের জন্য আনন্দের দিন। রবিবার বিকেলে শুরু হলো অষ্টম পশ্চিম বর্ধমান জেলা বইমেলা। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এবং আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরী, জেলাশাসক পোন্নমবলম এস, এবং আরও অনেকে। বইমেলার শুরুতে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-কে শ্রদ্ধা জানানো হয়।এই মেলা ৭ দিন ধরে চলবে এবং এতে প্রায় ১০০টি বুক স্টল অংশগ্রহণ করছে। বাংলা এবং ইংরেজি সাহিত্যের পাশাপাশি স্থানীয় লেখক এবং প্রকাশকদের বইও পাওয়া যাবে। বইমেলায় নতুন লেখকদের জন্য একটি বিশেষ স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে, যেখানে তাঁদের বই প্রদর্শিত এবং বিক্রি করা হচ্ছে বইমেলার আয়োজনে স্থানীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। আসানসোলের এক স্থানীয় শিক্ষক বলেন, “এমন একটি মেলা আমাদের শহরে প্রতিবার আয়োজন করা হয়, এটি আমাদের জন্য একটি বড় উৎসব। বই পড়ার অভ্যাস নতুন প্রজন্মের মধ্যে গড়ে তোলার এটি একটি দারুণ উদ্যোগ।” এক কলেজছাত্রী জানালেন, “আমি প্রতিবারই বইমেলায় আসি। এখানে নতুন নতুন বই দেখতে এবং কিনতে খুব ভালো লাগে।”
বইমেলা শুধু বই কেনা-বেচার জন্য নয়, এটি একটি সংস্কৃতি উদযাপনের জায়গা। এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লেখক-আলোচনা সভা, এবং শিশুদের জন্য বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার তৃতীয় দিনে একটি বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হবে, যেখানে প্রখ্যাত লেখক এবং সাহিত্যিকরা অংশগ্রহণ করবেন।জেলাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, “বইমেলা আমাদের জেলার সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। এটি কেবলমাত্র বইপ্রেমীদের জন্য নয়, বরং নতুন প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করার একটি বড় সুযোগ।”এবারের বইমেলার বিশেষত্ব হল, এখানে পরিবেশ সচেতনতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্টলে পরিবেশবান্ধব উপকরণে মুদ্রিত বই এবং নোটবুক পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া, দর্শনার্থীদের প্লাস্টিক ব্যবহার কমানোর জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
এই মেলা শুধুমাত্র সাহিত্য প্রেমীদের জন্য নয়, স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং প্রকাশকদের জন্যও একটি বড় সুযোগ। প্রকাশকরা জানিয়েছেন, এই মেলার মাধ্যমে তারা নতুন পাঠকের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ পান।আসানসোলের বইমেলা শুধু স্থানীয় নয়, রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের বইপ্রেমীদের কাছেও জনপ্রিয়। প্রতিবছর এই মেলা দর্শনার্থীদের সমাগমে জমজমাট হয়ে ওঠে। এই বছরের মেলাও তার ব্যতিক্রম নয়। বইয়ের প্রতি মানুষের ভালোবাসা এবং সাহিত্য উদযাপনের এমন উদ্যোগ আরও বেশি করে নেওয়া উচিত।