Bloody attack in Kashmir, who is this ‘The Resistance Front’?: গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের পেহেলগামের বাইসারান উপত্যকায় এক মর্মান্তিক হামলায় ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি পর্যটক নিহত হন, যা ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর সবচেয়ে ভয়াবহ বেসামরিক হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) নামক একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী, যা ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর আত্মপ্রকাশ করে।
TRF নিজেদেরকে একটি স্থানীয় প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিসেবে উপস্থাপন করলেও, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, এটি পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার একটি শাখা। TRF আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যেমন টেলিগ্রাম ও অন্যান্য এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের বার্তা প্রচার করে এবং হামলার দায় স্বীকার করে। এই হামলার পর TRF একটি বিবৃতি প্রকাশ করে, যেখানে তারা কাশ্মীরে ‘বহিরাগতদের’ বসবাসের বিরোধিতা করে। ত

বে, এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন পর্যটকরা, যারা কোনোভাবেই ‘বহিরাগত’ নন, যা TRF-এর উদ্দেশ্য ও কৌশলের প্রতি সন্দেহের জন্ম দেয়। এই হামলার পর কাশ্মীরের স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং সাধারণ মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং উভয় দেশ কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সীমিত করেছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হামলার দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি কাশ্মীরের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।