Blinkit now offers ambulance services:-দেশজুড়ে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল অনলাইন পণ্য সরবরাহকারী সংস্থা ব্লিঙ্কিট। সংস্থার সিইও অলবিন্দর ধিন্দসা ঘোষণা করেছেন, এখন থেকে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা মিলবে। প্রাথমিকভাবে গুরুগ্রামে এই পরিষেবা চালু হলেও, পরবর্তী দু’বছরের মধ্যে এটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ব্লিঙ্কিটের এই উদ্যোগ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এক বড়সড় পরিবর্তনের সূচনা করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অলবিন্দর ধিন্দসা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “নতুন বছরে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলাম। এখন থেকে গুরুগ্রামের বাসিন্দারা মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পাবেন।
এটি এক বিপ্লবী উদ্যোগ, যা আগামীতে আরও বিস্তৃত হবেএই পরিষেবার প্রধান লক্ষ্য হল, মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত এবং সময়মতো চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া। জরুরি পরিস্থিতিতে সময় নষ্ট না করেই অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য বুকিং করা যাবে। এই পরিষেবা প্রাথমিকভাবে মাত্র পাঁচটি অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে শুরু হলেও, সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি আরও বড় পরিসরে বিস্তৃত হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ব্লিঙ্কিটের অ্যাপ ব্যবহার করেই সহজে অ্যাম্বুল্যান্স বুক করা যাবে। ব্যবহারকারীর লোকেশন ট্র্যাক করে অ্যাম্বুল্যান্স দ্রুততম পথে রোগীর কাছে পৌঁছাবে।এই নতুন পরিষেবা নিয়ে গুরুগ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ যাদব বলেন, “এটি সত্যিই অত্যন্ত উপকারী উদ্যোগ। অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় না—এটা আমাদের জীবনে অনেক সময় বাঁচাবে।

”ব্লিঙ্কিটের লক্ষ্য শুধুমাত্র অনলাইন পণ্য সরবরাহ নয়; তারা স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও নিজেদের স্থান প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সংস্থার মতে, ১০ মিনিটের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চালু হলে তা অসংখ্য জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে। অলবিন্দর ধিন্দসা আরও জানান, “এটি আমাদের একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ। সারা দেশে এই পরিষেবা পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।”ব্লিঙ্কিটের এই উদ্যোগ শুধু গুরুগ্রামের মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটি ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তড়িৎ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হলে রোগীদের সঠিক সময়ে চিকিৎসার সুযোগ বাড়বে এবং তাদের জীবন রক্ষা পাবে।ব্লিঙ্কিটের মতো বড় সংস্থার এই ধরনের উদ্যোগ সারা দেশে আরও অনেক সংস্থাকে একই পথে হাঁটতে উৎসাহিত করবে। এই ধরনের উদ্যোগ শুধু প্রযুক্তি ব্যবহার করেই নয়, বরং মানবিকতার উদাহরণ হিসেবেও থেকে যাবে।