Biryani falls on a primary school student’s feet : পুরুষোত্তমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খুশি পড়ুয়ারা। সাপ্লিমেন্টারি নিউট্রিশন এর জন্য রাজ্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগ*
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিলে তরকারির বদলে পাতে পড়লো বিরিয়ানি। রামনগর এক নম্বর ব্লকের পুরুষোত্তমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খুশি পড়ুয়ারা।
স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছে রাজ্যের ৮৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ৭৮৩ জন পড়ুয়াকে সপ্তাহে দু’দিন করে অতিরিক্ত ডিম দিতে হবে, আগে যা এক দিন করে দেওয়া হত। এ ছাড়াও পুষ্টিকর ফল থাকতে হবে খাবারে। এর জন্য মাথাপিছু আট টাকা করে খরচ করবে রাজ্য। মিড-ডে মিলে বাড়তি পুষ্টি সংযোজনের সময়সীমা পাঁচ সপ্তাহ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
৩১ মার্চ, ২০২৫ এর মধ্যে এই নিয়ম প্রতিটি স্কুলে বলবৎ করার নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। ২০২৪ -২৫ অর্থবর্ষের শেষের দিকে বরাদ্দ বৃদ্ধির পর ফান্ড অবশিষ্ট ছিল। তাই সেই ফান্ডকে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।সাপ্লিমেন্টারি নিউট্রিশন প্রতিটি স্কুলের সাথে সাথে পুরুষোত্তমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। তার সাথে সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মার মেটানোর জন্য পড়ুয়াদের পাতে পড়লো বিরিয়ানি। পুরুষোত্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সম্মেলন মহাপাত্র বলেন একদিকে সাপ্লিমেন্টারি নিউট্রেশনের মেনে ছাত্র-ছাত্রীদের যেমন খাবার দেওয়া হচ্ছে অন্যদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের আবদার মেটানোর জন্যই আজ বিরিয়ানি করার আয়োজন।
:ছাত্র-ছাত্রীদের আবদার মেটাতে মিড ডে মিলে এলাহি আয়োজন স্কুলের। মিড ডে মিলে ভাত তরকারির বদলে ছাত্র-ছাত্রীদের পাতে পড়ল বিরিয়ানি! বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় খাবারের নাম জিজ্ঞেস করা হয় সকলেই এক বাক্যে বলবে বিরিয়ানি। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে বিরিয়ানি শব্দটা আলাদা গুরুত্ব পায়।
বিরিয়ানি মিড ডে মিলের খাবারের তালিকায়।
স্কুলছুট আটকাতে এবং পড়ুয়াদের পুষ্টি দিতে এই প্রকল্প চালু হয়। দীর্ঘদিন ধরেই সেটা চলে আসছে। রাজ্যের নানা স্কুলে মিড–ডে মিলের খাবার নিয়ে নানা অভিযোগও শোনা যায়। আবার মাঝেমধ্যে খবরে উঠে আসে মিড–ডে মিলের খাবারে পোকা, কেঁচো অথবা মরা টিকটিকি মিলেছে। কিন্তু এবার মিড–ডে মিল নিয়ে চমকে দেওয়ার খবর উঠে এসেছে। সেটা হল, পড়ুয়ারা শিক্ষকের কাছে আবদার করেছিল বিরিয়ানি মূল খাওয়ানোর। তাই শিশু মনের কথা রাখতে মিড–ডে মিলে বিরিয়ানির ব্যবস্থা করা হয়।
মূলত পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত মিড ডে মিল দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের। একদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টিগুণ ঠিক রাখা অন্যদিকে স্কুল ছুট কমাতে মিড ডে মিলের গুরুত্ব অপরিসীম। ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টিগুণ মাথায় রেখে রাজ্য সরকার আগেই মিড ডে মিলের খাদ্য তালিকা করে দিয়েছে। সেই মত সপ্তাহে ছয় দিন মিড ডে মিল পরিবেশন হয় স্কুলগুলিতে। মিড ডে মিলের খাওয়ার তালিকায় ভাত ডাল তরকারি ডিম ও মাংস রয়েছে। কিন্তু এবার ছাত্রছাত্রীদের আবদার মেটাতে মিড ডে মিলে বিরিয়ানি খাওয়ালো পুরুষোত্তমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। খুশি পড়ুয়ারা ।