Saturday, June 14, 2025
Google search engine
Homeপশ্চিমবঙ্গদুর্গাপুরদুর্গাপুরে কারখানা গুলিতে চালু হবে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা

দুর্গাপুরে কারখানা গুলিতে চালু হবে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা

Biometric system to be introduced in factories in Durgapur:দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্পাঞ্চল, দীর্ঘদিন ধরে শিল্প ও শ্রমিকদের জন্য পরিচিত। এখন, এই অঞ্চলের ইস্পাত কারখানাগুলিতে একটি নতুন প্রযুক্তি ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে—বায়োমেট্রিক সিস্টেম। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো ঠিকা শ্রমিকদের উপস্থিতি ও কাজের সময় নির্ধারণ করা, যাতে তাদের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত থাকে।

গতকাল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠকে মিলিত হন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কীর্তি আজাদ, আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বৈঠকের শেষে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “শ্রমিকদের স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য এই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও বলেন, “শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়নের মূল সেলে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন, এবং এজন্য শহর জুড়ে হেল্পলাইন নম্বর সহ হোডিং লাগানো হবে।”বর্তমানে, দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড (ডিপিএল) কারখানায় প্রায় ১৪০০ ঠিকা শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন, যাদের মাসিক বেতন বর্তমানে ৭২০০ টাকা। এই শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৃদ্ধি ও ৩০ দিনের কাজের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে, সিআইটিইউ-র নেতৃত্বে শ্রমিকরা ডিপিএল কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি ছিল, “নূন্যতম বেতন ২৬ হাজার টাকা ও ৩০ দিনের কাজ দিতে হবে।

Screenshot 16 1

” সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার অভিযোগ করেন, “বামফ্রন্ট সরকারের আমলে শেষবার বেতন চুক্তি হয়েছিল, তারপর আর কিছু হয়নি।” এই পরিস্থিতিতে, তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্য সরকারের তাপ বিদ্যুৎ কারখানায় ঠিকা কর্মীদের জন্য সিআইটিইউ নাটক করছে।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কারখানাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তাই ভোটের মুখে শ্রমিকদের মন জয় করতে বামেদের এই নাটক।” বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালু হলে, ঠিকা শ্রমিকদের উপস্থিতি ও কাজের সময় নির্ধারণ করা সম্ভব হবে, যা তাদের বেতন ও কাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এছাড়া, এই ব্যবস্থা শ্রমিকদের অভিযোগ জানাতে সহায়তা করবে, যাতে তাদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে।এই উদ্যোগের ফলে, দুর্গাপুরের শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে, এবং তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এটি শ্রমিক আন্দোলনের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, যা অন্যান্য শিল্পাঞ্চলেও অনুসরণযোগ্য হতে পারে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments