Biman Bose remains indomitable even at the age of 85: রাজনীতির ময়দানে যেমন দৃঢ়চেতা, তেমনই ব্যক্তিগত জীবনে কঠোর শৃঙ্খলাবদ্ধ—এমনই এক অনন্য ব্যক্তিত্ব বিমান বসু। বয়স তাঁর কাছে কেবল একটি সংখ্যা মাত্র। ৮৫ বছর বয়সেও তিনি প্রমাণ করে চলেছেন, ইচ্ছাশক্তি ও শারীরিক সক্ষমতা থাকলে বয়স কোনো বাধা হতে পারে না। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বিমান বসু হেঁটেছেন পুরো দুই ঘণ্টা, যা আজকের তরুণদের জন্য একপ্রকার চ্যালেঞ্জই বলা যায়!সাম্প্রতিক সময়ে যেখানে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ শারীরিক পরিশ্রম ও হাঁটাচলার ক্ষেত্রে উদাসীন, সেখানে ৮৫ বছর বয়সী বিমান বসুর এই দীর্ঘ পদযাত্রা সত্যিই চমকপ্রদ। তাঁর এই কর্মক্ষমতা ও দৃঢ়তা দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। হাঁটার প্রতি তাঁর এই নিষ্ঠা শুধু দৈহিক সুস্থতার প্রতীকই নয়, বরং তাঁর আত্মনিবেদন ও কর্মশক্তিরও বহিঃপ্রকাশ।
বিমান বসুর দীর্ঘদিনের সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবনের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তাঁর কঠোর শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাত্রায়। সারা জীবন তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করেছেন, শরীরচর্চা ও খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন। কোনোদিন অযথা বিলাসিতা বা শারীরিক শিথিলতা তাঁকে ছুঁতে পারেনি। আজ তাঁর সুস্থতা ও অক্লান্ত কর্মদক্ষতা তারই ফল।শুধু শারীরিক সক্ষমতা নয়, তাঁর রাজনৈতিক জীবনও অনন্য। দীর্ঘদিন ধরে বামপন্থী রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে রয়েছেন তিনি। পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও দলীয় আদর্শের প্রতি অনুগত থেকে তিনি আজও সমানভাবে সক্রিয়। বয়সের ভারে ক্লান্ত না হয়ে এখনও সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে পথ হাঁটছেন তিনি।
বিমান বসুর এই পদযাত্রা বর্তমান প্রজন্মের জন্য এক বড় শিক্ষা। আধুনিক জীবনের নানা সুযোগ-সুবিধার মধ্যে আমরা হাঁটা ও পরিশ্রম থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছি। অথচ, সুস্থ থাকতে হলে এবং দীর্ঘ কর্মক্ষম জীবন পেতে হলে শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাত্রার কোনো বিকল্প নেই। বিমান বসু দেখিয়ে দিলেন, বয়স বড় বাধা নয়, যদি থাকে মানসিক দৃঢ়তা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা।৮৫ বছর বয়সেও তিনি যে প্রাণশক্তি দেখিয়েছেন, তা আজকের তরুণদের জন্য এক সতর্কবার্তা ও অনুপ্রেরণা। সত্যিই, এই বয়সে তাঁর দুই ঘণ্টার হাঁটা অনেক তরুণকেই হার মানাবে!

বিমান বসুর জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি, শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাত্রা, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং মানসিক দৃঢ়তা আমাদের সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর এই পদযাত্রা আমাদের সকলের জন্য এক উদাহরণ, যা আমাদেরকে শারীরিক সুস্থতা ও কর্মদক্ষতার প্রতি আরও মনোযোগী হতে উদ্বুদ্ধ করবে।বিমান বসুর এই অনন্য উদাহরণ আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করবে শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাত্রা ও শারীরিক সুস্থতার প্রতি আরও যত্নবান হতে। তাঁর এই পদযাত্রা প্রমাণ করে, ইচ্ছাশক্তি ও শারীরিক সক্ষমতা থাকলে বয়স কোনো বাধা হতে পারে না। তাঁর এই কর্মক্ষমতা ও দৃঢ়তা আমাদের সকলের জন্য এক বড় শিক্ষা।