Sunday, April 13, 2025
Google search engine
Homeরাজনীতিঅন্যানো রাজনীতিদমদম মেলা ২০২৪: অর্জুনপুর খেলার মাঠে নতুন উদ্যমে সূচনা

দমদম মেলা ২০২৪: অর্জুনপুর খেলার মাঠে নতুন উদ্যমে সূচনা

Biman Banerjee inaugurated the Dum Dum Mela 2024:দমদম মেলা ২০২৪ এবার নতুন জায়গায়, নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে। ২৬ দিনব্যাপী এই মেলার শুভ সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুনপুর খেলার মাঠে প্রদীপ জ্বালিয়ে তিনি মেলার উদ্বোধন করেন। পূর্বে দমদম সুরের মাঠে এই মেলা অনুষ্ঠিত হলেও, এ বছর স্থান পরিবর্তন করে অর্জুনপুর খেলার মাঠে নিয়ে আসা হয়েছে। এই পরিবর্তন সত্ত্বেও স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহ ও ভিড় কোনো অংশেই কম নয়।মেলা কমিটির সম্পাদক এবং দক্ষিণ দমদম পৌরসভার সদস্য সঞ্জয় দাস জানালেন, “স্থান পরিবর্তন সত্ত্বেও আমরা আশাবাদী যে, প্রচুর মানুষের ভিড় হবে। প্রায় ১০০টিরও বেশি স্টল থাকছে, যেখানে স্থানীয় শিল্প ও ব্যবসার প্রতিনিধিত্ব দেখা যাবে। এটি শুধু বিনোদন নয়, বরং আমাদের এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গায়িকা অদিতি মুন্সি, দক্ষিণ দমদম পৌরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, বিধাননগর পৌরসভার প্রতিনিধি কস্তুরী চৌধুরীসহ আরও অনেকে। অদিতি মুন্সির সুরেলা পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তার বক্তব্যে বলেন, “দমদম মেলা আমাদের ঐতিহ্য এবং সামাজিক মেলবন্ধনের একটি প্রতীক। এটি শুধু বিনোদনের জায়গা নয়, বরং আমাদের সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির প্রতিফলন।”দমদম মেলায় স্থানীয় ব্যবসা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এক ছাদের নিচে আসে। স্থানীয় বাসিন্দা অনন্যা ঘোষ জানান, “প্রতি বছরই আমরা দমদম মেলায় আসি। এটি আমাদের এলাকার অন্যতম প্রধান উৎসব। এবার নতুন জায়গায় হলেও, সেই চিরচেনা পরিবেশ ফিরে পেয়েছি।”মেলায় ১০০টিরও বেশি স্টলে স্থানীয় হস্তশিল্প, পোশাক, গৃহসজ্জার সামগ্রী থেকে শুরু করে খাবারের স্টল পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া শিশুদের জন্য রয়েছে নানা ধরনের রাইড ও বিনোদনের ব্যবস্থা। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মেলা তাদের ব্যবসার প্রসারে বড় ভূমিকা পালন করে।

2Q==

স্থানীয় ব্যবসায়ী সুব্রত দাস বলেন, “মেলা আমাদের ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে আমরা স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারি। এর মাধ্যমে আমাদের ব্যবসা যেমন বাড়ে, তেমনই স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়।”মেলায় দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রয়েছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। পুরো মেলাপ্রাঙ্গণ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন মেলার বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।দমদম মেলা শুধু একটি স্থানীয় উৎসব নয়; এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। প্রতি বছর এই মেলার মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসা যেমন প্রসারিত হয়, তেমনি এলাকার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রচারও ঘটে।স্থানীয় বাসিন্দারা আশাবাদী, অর্জুনপুর খেলার মাঠে স্থানান্তরের পর মেলা আরও বৃহৎ আকারে পরিচালিত হবে এবং এটি নতুন প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্যবাহী মেলার ধারণা ছড়িয়ে দেবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments