Attempted attack on White House, young man injured in Secret Service shooting : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম হোয়াইট হাউস। যেখানে সেকেন্ডে সেকেন্ডে নজরদারি চলে, সেখানে যদি কেউ হামলার চেষ্টা করে, তাহলে সেটি নিঃসন্দেহে বড় ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা। সম্প্রতি, এক সশস্ত্র যুবক হোয়াইট হাউসে ঢোকার চেষ্টা করলে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস তাকে গুলি করে জখম করে।
এই ঘটনার পর হোয়াইট হাউসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ওই যুবকের পরিচয় এখনো স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি, তবে জানা গেছে তিনি আমেরিকার ইন্ডিয়ানার বাসিন্দা। তিনি কী কারণে ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছিলেন এবং কেন হোয়াইট হাউসের কাছে গিয়ে এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করলেন, তা তদন্ত করে দেখছে মার্কিন পুলিশ ও ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাতে হোয়াইট হাউসের একেবারে কাছাকাছি চলে আসেন এক যুবক। নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে থামানোর চেষ্টা করলে, তিনি বন্দুক বের করেন এবং তাদের দিকে তাক করেন। এতে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয় এবং সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়, যার ফলে যুবকটি গুরুতর আহত হন।
সূত্র অনুযায়ী, ইন্ডিয়ানা থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে এক ব্যক্তি আসতে পারেন বলে পুলিশ আগেই সিক্রেট সার্ভিসকে সতর্ক করেছিল। তারা জানিয়েছিল, এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি কোনো উদ্দেশ্যে রাজধানীর দিকে রওনা হয়েছেন এবং তার কাছে অস্ত্র থাকতে পারে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এজেন্টরা নজরদারি করছিলেন।রাতের দিকে হোয়াইট হাউসের কাছাকাছি একটি গাড়ি পার্ক করা অবস্থায় দেখতে পায় পুলিশ। পরে এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে সামনে এগিয়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষীরা তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি আচমকাই আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। এরপরেই ওই ব্যক্তি বন্দুক বের করেন এবং পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা গুলি চালায়।ঘটনার পরপরই হোয়াইট হাউসের আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলা হয় এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন হোয়াইট হাউসেই ছিলেন, তবে তিনি নিরাপদ আছেন বলে জানানো হয়।একজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেন, “এই ধরনের ঘটনা দেখিয়ে দেয় যে, প্রেসিডেন্টের বাসভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি সঠিক সময়ে সিক্রেট সার্ভিস ব্যবস্থা না নিতো, তাহলে হয়তো বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারত।”
তদন্তকারীরা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি, সন্দেহভাজন ওই যুবকের উদ্দেশ্য কী ছিল। তবে কিছু সম্ভাবনার কথা সামনে আসছে—এফবিআই এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা তার অতীত খতিয়ে দেখছে, যাতে তার আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায়।এই ঘটনার পর আমেরিকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্কও ছড়িয়েছে। একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “হোয়াইট হাউসের মতো জায়গায় যদি কেউ অস্ত্র নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত?”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা বিশ্ব রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, প্রেসিডেন্টের বাসভবনে যদি কেউ হামলা চালানোর চেষ্টা করে, তাহলে অন্য দেশগুলিও নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে বাধ্য হবে।