Attack on tribal leader, road blockade in Burdwan:পূর্ব বর্ধমানের পালিতপুর অঞ্চলে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যেখানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রধান নেতা মাঝি বাবা সুখেন্দু হেমরমের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ আদিবাসী সম্প্রদায় রাস্তায় নেমেছে এবং ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের নেতৃত্বে শুক্রবার দেওয়ানদীঘির মির্জাপুর এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পথ অবরোধ শুরু করেছে। অভিযোগ, বিনা কারণে কিছু দুষ্কৃতী মাঝি বাবাকে তাঁর নিজের ঘর থেকে টেনে হিচড়ে বের করে এনে নির্মমভাবে মারধর করে এবং অস্ত্রসহ আক্রমণ চালায়। স্থানীয়দের দাবি, হামলাকারীদের মধ্যে পাশের মুসলিম পাড়ার কয়েকজন ব্যক্তি জড়িত ছিল। এই ঘটনায় শুধু মাঝি বাবাই নন, এক আদিবাসী মহিলার ডান হাতও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় আদিবাসীরা দাবি তুলেছেন, প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলন আরও বড় আকার নেবে। তাদের বক্তব্য, “আমাদের নেতার উপর হামলা হয়েছে, অথচ পুলিশ এখনও দোষীদের গ্রেফতার করেনি। আমাদের বিচার চাই। না হলে আন্দোলন চলবেই।” পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।তাদের অভিযোগ, বারবার জানানো সত্ত্বেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি, যার ফলে তারা বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমেছেন।অবরোধের কারণে ওই অঞ্চলে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী ও কর্মরত লোকজন বিপাকে পড়েছেন। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসন পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করেছে, তবে এখনো পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের কোনো সদর্থক আলোচনা হয়নি।আদিবাসী নেতাদের বক্তব্য, “আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করি, কিন্তু প্রশাসন যদি আমাদের কথা না শোনে, তাহলে আমরা আরও বড় আন্দোলনে যাবো। আমাদের নিরাপত্তা চাই, আমাদের অধিকারের স্বীকৃতি চাই।” অন্যদিকে, স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা এই হামলার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন এবং বিষয়টি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হতে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে গোটা অঞ্চলের সামাজিক সম্পর্কের ওপর।

আদিবাসী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তা সাম্প্রদায়িক বিভেদের রূপ নিতে পারে, যা প্রশাসনের জন্য আরও বড় মাথাব্যথার কারণ হবে।বর্তমানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকলেও প্রশাসনের তরফ থেকে এখনও কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন দেখার বিষয়, পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কি না, নাকি এই আন্দোলন আরও বিস্তৃত