as usual before the polls there is a heated debate একদিকে তৃণমূল কর্মীদের উপর আইএসএফ কর্মীদের হামলার খবর আসছে, তো অন্যদিকে আইএসএফ কর্মীদের উপর তৃণমূলের চড়াও হওয়ার ঘটনাও সামনে আসছে। বিশেষ করে কোচপুকুর ও জিরানগাছা এলাকায় এই ধরনের সহিংসতা বাড়ছে। যাদবপুর লোকসভার প্রার্থী হিসেবে এবার নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন যুবনেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। প্রচারের মাঠে তাঁর নাম আসার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
সায়নীর প্রচারের জন্য এলাকার এক আইএসএফ সমর্থককে তৃণমূলের মিছিলে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। তবে ওই আইএসএফ সমর্থক মিছিলে যাননি, এবং মিছিল শেষ হওয়ার পর তাকে নাকি বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে এবং আইএসএফের অভিযোগ অনুযায়ী, তৃণমূলের লোকজনই নাকি তাদের এক সমর্থককে মিছিলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও তৃণমূল এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
এলাকায় এক আহত আইএসএফ সমর্থককে জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়। অন্যদিকে, ভগবানপুর অঞ্চলের জিরানগাছায় এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। এই কর্মীকেও একই হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এই সব ঘটনায় এলাকায় শান্তি রক্ষার জন্য পুলিশের তৎপরতা বাড়ছে।
এই সংঘাতগুলোর ফলে ভাঙড়ের স্থানীয় সম্প্রদায়ের উপর গভীর প্রভাব পড়েছে। নিরাপত্তার অভাব ও অনিশ্চয়তা এলাকার মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা নির্বাচনের ফলাফলকেও প্রভাবিত করতে পারে। একদিকে যেমন ভোটাররা নিরাপত্তার খোঁজে ভোট দিতে পারেন, তেমনি অপরদিকে ভয়ের কারণে ভোট থেকে দূরে থাকতে পারেন।

এই পরিস্থিতিতে সবার চোখ প্রশাসনের উপর। এলাকায় শান্তি ফেরানো এবং নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার দায়িত্ব এখন প্রশাসনের হাতে। সবার প্রত্যাশা, ভাঙড়ের মানুষ যেন একটি শান্তিপূর্ণ এবং ন্যায়বিচারের পরিবেশে ভোট দিতে পারেন।
Rade more :