Are you sick again and again during the monsoon? These two kitchen ingredients will provide relief : বর্ষাকাল মানেই মেঘলা আকাশ, মনভোলানো বৃষ্টি আর ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া। কিন্তু প্রকৃতির এই রোমান্টিকতা যখন শরীরের ওপর চাপে পরিণত হয়, তখন বর্ষা হয়ে ওঠে চিন্তার কারণ। এই সময় অনেকেই বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা খুসখুস, এমনকি গলায় জ্বালাভাবও সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়।
এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ওষুধের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হন। কিন্তু ঘরের হেঁশেলেই লুকিয়ে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা শুধু খাবারে স্বাদই বাড়ায় না, শরীর সুস্থ রাখতেও জাদুর মতো কাজ করে। বিশেষ করে আদা আর রসুন – এই দুই সাধারণ মসলা, বর্ষার অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী উপায় হতে পারে।বর্ষাকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বৃষ্টির জল, আর্দ্রতা এবং ঠান্ডা পরিবেশ শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সহজেই শরীরে বাসা বাঁধে। তখনই শুরু হয় গলা খুসখুস, সর্দি-কাশি, এমনকি জ্বর।
এই সময় রান্নাঘরের ‘হিরো’ হয়ে ওঠে আদা। আদার মধ্যে থাকে জিঞ্জারল (Gingerol) নামে একটি উপাদান, যা গলার প্রদাহ কমায়, শ্লেষ্মাকে পাতলা করে এবং জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। হালকা গরম জলে ৫ মিনিট ধরে আদা ফুটিয়ে খেলে তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। চাইলে এর সঙ্গে মধু ও লেবু মিশিয়েও খাওয়া যায়, যা কাশির উপশমে সাহায্য করে।শুধু গরম জল নয়, শুকনো আদা মুখে রেখে আস্তে আস্তে চুষলেও গলার জ্বালা কমে ও আরাম পাওয়া যায়।
আবার অপর এক উপকারী উপাদান হল রসুন। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান, যা শরীরকে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন খালি পেটে একটি রসুন খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, রসুন কোলেস্টেরল কমায়, হার্ট ভালো রাখে এবং সারা শরীরের রক্তসঞ্চালন উন্নত করে।