Amit Shah’s effigy was burnt in Raniganj by protesting leftists: রানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে সিপিআইএম কর্মীরা ধিক্কার মিছিল ও কুশপুতুল দাহের আয়োজন করলেন। সোমবার ডলফিন মাঠ থেকে শুরু হওয়া এই মিছিল এনএসবি রোড হয়ে তারবাংলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বাম কর্মীরা অমিত শাহের কুশপুতুল দাহ করে প্রতিবাদ জানান। তাঁদের দাবি, সংবিধানের প্রণেতা ডক্টর বি.আর. আম্বেদকর সম্পর্কে কটূক্তি করার জন্য অমিত শাহকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।মিছিলের নেতৃত্বে থাকা সিপিআইএম নেতারা জানান, অমিত শাহের মন্তব্য শুধু সংবিধানের অসম্মান নয়, এটি দেশের মানুষের প্রতি অপমান। তাঁরা বলেন, “আমরা ডক্টর আম্বেদকরের অসম্মান সহ্য করব না। সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা প্রত্যেক ভারতীয়ের কর্তব্য।”
এই ঘটনায় রানীগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কেউ কেউ বামেদের এই প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, মিছিলের কারণে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তবে মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবেই পরিচালিত হয়।পুলিশ প্রশাসন মিছিলের সময় সতর্ক ছিল এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। রানীগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক জানান, মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে এবং কোনও অশান্তি ঘটেনি।

অমিত শাহের মন্তব্য নিয়ে শুধু সিপিআইএম নয়, তৃণমূল এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই আন্দোলন রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং বিরোধী জোটকে আরও শক্তিশালী করার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের প্রতিবাদ বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলের ঐক্যকে ত্বরান্বিত করতে পারে।রানীগঞ্জের এই প্রতিবাদ শুধু একটি স্থানীয় ঘটনা নয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। দেশের সংবিধান এবং এর প্রণেতার প্রতি সম্মান জানানো প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। এই ধরনের প্রতিবাদ সমাজে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ করে এবং সংবিধান রক্ষায় মানুষকে একত্রিত করে।