America stands by India on Pehalgaon attack:পাকিস্তানের পেহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গোটা বিশ্ব স্তব্ধ, আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন উত্তেজনা আর কূটনৈতিক দড়ি টানাটানি; একদিকে চিন পাকিস্তানের পক্ষে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে বলেছে যে, “পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে চিন সর্বতোভাবে পাশে থাকবে,” বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্নের ঝড় তুলেছে, কারণ যেখানে সন্ত্রাসবাদের সরাসরি শিকার হয়েছে নিরীহ মানুষ, সেখানে চিন ‘নিরপেক্ষ তদন্তের’ দাবিতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত এই মর্মান্তিক ঘটনার গুরুত্ব খাটো করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা; অন্যদিকে, এই সঙ্কটজনক মুহূর্তে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র একটি কড়া বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমেরিকা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে সমর্থন করে এবং নিরপরাধ নাগরিকদের হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়,” এই ঘোষণার মাধ্যমে আমেরিকা স্পষ্ট করেছে যে তারা ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী, বিশেষ করে যখন দক্ষিণ চীন সাগর থেকে হিমালয়, সর্বত্র চিনের আগ্রাসী ভূমিকাকে রুখতে একটি শক্তিশালী মিত্রপক্ষ গড়ে তোলার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে;
এ প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক সমরজিৎ সেন জানান, “পেহেলগাঁও হামলা শুধু ভারত-পাকিস্তান নয়, বিশ্ব নিরাপত্তার ওপরও বড় একটা প্রভাব ফেলতে চলেছে, কারণ সন্ত্রাসবাদ আজ আর কোনও একক দেশের সমস্যা নয়”; আমেরিকার এই সমর্থন ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে, বিশেষ করে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ উত্থাপনের প্রস্তুতির জন্য; অন্যদিকে, চিনের ভূমিকাকে সমালোচনা করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, “একটি দেশ যদি সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতাকে সমর্থন করে, তাহলে তারা আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষার দাবিদার হতে পারে না”; এই ঘটনার পরে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ ইতিমধ্যেই উভয় দেশ QUAD জোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য একযোগে কাজ করছে; পেহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ ভারতীয়রাও আমেরিকার এই সমর্থনে উৎসাহিত হয়েছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘#ThanksAmerica’ ট্রেন্ড করতে শুরু করেছে; তবে কূটনৈতিক মহল সতর্ক করে বলছে,

এই সমর্থন সত্ত্বেও ভারতকে নিজের কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে নিজেদের স্বার্থ বিসর্জন না দিতে হয়; অন্যদিকে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও এই ঘটনার বড় প্রভাব পড়েছে, কারণ পাকিস্তান সরকার এখন চাপের মুখে পড়েছে একদিকে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি সামলাতে, অন্যদিকে দেশের ভেতর বাড়তে থাকা বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধির চাপ মোকাবেলা করতে; সব মিলিয়ে, পেহেলগাঁও হামলা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এক নতুন আবর্ত তৈরি করেছে যেখানে ভারতের ভূমিকাই শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং ভারতকে ঘিরে গড়ে উঠতে চলেছে নতুন আন্তর্জাতিক সমীকরণ, যেখানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় ভারত আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা নেবে, আর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বহু দেশ ভারতের পাশে থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে; এখন দেখার, চিনের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকাকে মোকাবিলা করে ভারত কিভাবে নিজের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তোলে এবং এই মর্মান্তিক ঘটনার সুবিচারের জন্য কী কী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।