After Spadex, now a touch of life in space!: ইসরো আবারও মহাকাশ গবেষণায় নতুন ইতিহাস তৈরি করল। মাত্র এক সপ্তাহ আগে স্পেডেক্স মিশনে সাফল্যের নজির গড়ে বিশ্বের নজর কাড়ে ভারত। বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশ স্পেস ডকিং প্রযুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে, আর সেই তালিকায় এবার যোগ দিল ভারত। তবে এখানেই থেমে নেই ইসরো। এবার ভরশূন্য মহাকাশে প্রাণের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণায় বড় মাইলফলক অর্জন করল ভারত। পিএস৪ অরবিটাল এক্সপেরিমেন্ট মডিউল, যা ভারতীয় স্পেস ল্যাব নামে পরিচিত, এর মাধ্যমে ভরশূন্য অবস্থায় বীজ থেকে অঙ্কুরোদগম সম্ভব কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। এই মডিউলে বরবটির বীজ পাঠানো হয়েছিল, যা মাত্র চার দিনের মধ্যেই মহাকাশে অঙ্কুরিত হয়েছে। পৃথিবীতে যেমন সময় লাগে, মহাকাশেও ঠিক তেমন সময়েই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞানীদের কাছে এটি এক অভূতপূর্ব সাফল্য, যা মহাকাশে কৃষিকাজের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এই গবেষণার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ইসরো।
স্পেডেক্স মিশনে পিএসএলভি সি৬০ রকেটের মাধ্যমে দুটি মহাকাশযান পাঠানো হয় এবং সেগুলি মহাকাশে সফলভাবে স্পেস ডকিং সম্পন্ন করে। এটি মহাকাশ স্টেশন তৈরির ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ভারতের ২০৩৫ সালের মধ্যে নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরির লক্ষ্যে বড় ভূমিকা রাখবে। মহাকাশে প্রাণের সঞ্চার এবং খাদ্য উৎপাদন নিয়ে গবেষণায় এই সাফল্য নতুন আশার আলো দেখিয়েছে। ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ এস সোমনাথ এই সাফল্যকে ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, ভরশূন্য অবস্থায় অঙ্কুরোদগম সম্ভব হয়েছে, যা ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানে খাদ্য সরবরাহের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেবে।
ইসরোর বিজ্ঞানীদের এই সাফল্য নিয়ে গোটা দেশে উচ্ছ্বাসের ঢেউ উঠেছে। শ্রীহরিকোটার স্থানীয় বাসিন্দারা ইসরোর প্রতি গর্বিত এবং আশাবাদী যে ভারত আরও অনেক উচ্চতায় পৌঁছাবে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “ইসরোর প্রতিটি সাফল্য আমাদের গর্বিত করে। আমরা জানি যে ভারত মহাকাশ গবেষণায় বিশ্বের সেরা কেন্দ্রে পৌঁছাবে।” বিজ্ঞানীমহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে ইসরোর এই সাফল্য নতুন উদ্দীপনা যোগাচ্ছে।
এই গবেষণার ফলাফল শুধু ভারতের নয়, গোটা বিশ্বের মহাকাশ গবেষণায় বিপ্লব আনবে। মহাকাশে ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা মহাকাশ অভিযানের খরচ কমাতে সাহায্য করবে এবং দীর্ঘমেয়াদি মিশনের জন্য একটি বড় সমাধান দেবে। ইসরো যে লক্ষ্য স্থির করেছে, তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্পেডেক্স মিশন এবং এই নতুন সাফল্য প্রমাণ করে, ভারত আজ বিশ্ব মহাকাশ গবেষণার এক অগ্রগামী দেশ।
)
ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এই সাফল্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ইসরোর এই মাইলফলক শুধু ভারতকে নয়, গোটা বিশ্বকে মহাকাশ গবেষণার এক নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। একদিকে যেমন বিজ্ঞানীরা নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে মনোনিবেশ করছেন, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ এই সাফল্যকে দেশের গর্ব হিসেবে গ্রহণ করছেন। ইসরোর এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতের জন্য এক আশার আলো।