ADDA: কুনুর নদীর তীরে অবস্থিত কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডিহা গ্রামে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ) উদ্যোগে বৈদ্যুতিক শ্মশানের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা, এবং আগামী ১৮ মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, এডিডিএর চেয়ারম্যান কবি দত্ত, মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, এডিডিএর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রাজেন্দ্র প্রসাদ মন্ডল, প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর লাহা, কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নব কুমার সামন্ত সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এই প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, “দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল এই শ্মশানটি করার। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে এই বৈদ্যুতিক শ্মশানটি হতে চলেছে। এই শ্মশানটি পরিবেশবান্ধব হবে। কাঁকসার মানুষের পাশাপাশি বীরভূম, বাঁকুড়ার মানুষেরও সুবিধা হবে। ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের জায়গা হবে।” এডিডিএর চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, “চেষ্টা করেছিলাম বৈদ্যুতিক চুল্লি করার জন্য। তারই কাজ শুরু হলো। পরিবেশবান্ধব এই শ্মশানে দূষণ অনেকটাই কমবে।”
এই বৈদ্যুতিক শ্মশান নির্মাণের ফলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ও আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব এই শ্মশান দূষণ কমাতে সহায়তা করবে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে। এছাড়াও, এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। কাঁকসা, বীরভূম এবং বাঁকুড়া জেলার মানুষ এই শ্মশানের সুবিধা পাবেন, যা তাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে।
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি সংস্থা, যা আসানসোল ও দুর্গাপুর অঞ্চলের পরিকল্পনা ও উন্নয়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। এডিডিএ বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্প, যেমন রাস্তা, ড্রেন, এবং অন্যান্য নাগরিক সুবিধা উন্নয়নের কাজ করে থাকে। এই বৈদ্যুতিক শ্মশান নির্মাণ প্রকল্প এডিডিএর পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন প্রচেষ্টার একটি উদাহরণ।
স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ মণ্ডল বলেন, “আমাদের এলাকায় এমন একটি শ্মশানের প্রয়োজন ছিল। এটি আমাদের সময় ও খরচ বাঁচাবে, এবং পরিবেশও রক্ষা পাবে।” আরেক বাসিন্দা, সুমিতা দাস, বলেন, “এই শ্মশানের মাধ্যমে আমাদের যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা আমাদের সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন স্থানীয় জনগণের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং পরিবেশ রক্ষায় সহায়তা করবে। এডিডিএর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়, যা ভবিষ্যতে অন্যান্য অঞ্চলেও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণে উদাহরণ স্থাপন করবে।