A young man fell into an abandoned illegal coal mine: আসানসোলের জামুরিয়া থানার নর্থ সিহারশোল খোলামুখ খনি সংলগ্ন কাটাগরিয়া এলাকায় এক পরিত্যক্ত অবৈধ কয়লা খনিতে পড়ে গেল এক যুবক। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিত্যক্ত এই কয়লা খনিগুলো এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার সকালে রানীগঞ্জের বাসিন্দা ভীষম রায় নামের ওই যুবক দুর্ঘটনাক্রমে খনিতে পড়ে যান। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় স্থানীয় বাসিন্দারা।এলাকাবাসীর দাবি, পরিত্যক্ত খনির আশপাশে সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। তারা দ্রুত যুবককে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। খবর পেয়ে জামুরিয়া থানার পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। তবে খনির গভীরতা এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়দের একজন বলেন, “এই অবৈধ খনিগুলো আমাদের এলাকায় শুধু বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। আজকের ঘটনা তারই প্রমাণ।”পলিশ জানিয়েছে, “আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি এবং উদ্ধারকারী দল সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে পরিত্যক্ত খনির গভীরতা এবং ভেতরের জটিলতা উদ্ধার কাজকে কঠিন করে তুলেছে।”পরিত্যক্ত এবং অবৈধ খনি দীর্ঘদিন ধরে আসানসোল এবং রানীগঞ্জ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই খনিগুলোতে কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই, যা এলাকার মানুষের জন্য বিপজ্জনক। শুধু প্রাণহানির ঘটনা নয়, স্থানীয় পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্রেও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।

এই ঘটনা স্থানীয় প্রশাসনের উপর আরও চাপ বাড়াবে। এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন, এই ধরনের পরিত্যক্ত খনিগুলো দ্রুত ভরাট করতে হবে এবং এর আশেপাশে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।এছাড়া, এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও সামনে এসেছে অবৈধ কয়লা খনির বিষয়টি, যা স্থানীয় রাজনীতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এবং দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।