A thousand years old Sat Deul temple:-বর্ধমান থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে আঝাপুরের দেউলিয়া গ্রামে অবস্থিত ‘সাত দেউল’ প্রাচীন জৈন মন্দিরটি বাংলার ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যকীর্তি। এই মন্দিরটি বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে এবং এর মধ্যে আর কোনো বিগ্রহ বা মূর্তি নেই। পাথরের পরিবর্তে পোড়ামাটির ইট দিয়ে নির্মিত এই মন্দিরগুলির আয়ুষ্কাল খুব বেশি হয় না, ফলে বহু স্থাপত্য ধ্বংস হয়ে গেছে এবং যা রয়ে গেছে তাও অত্যন্ত জরাজীর্ণ
এই মন্দিরটির গবেষণা এবং খননের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সংস্কারের জন্য সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। এই ঐতিহাসিক স্থাপত্য কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে এবং এর মধ্য দিয়ে প্রাচীন বঙ্গের জৈন ধর্মানুযায়ী স্থাপত্য প্রকল্প এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে চিহ্নিত করা যায়। বিক্রমপুর অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য অনেক বেশি সমৃদ্ধ, এবং এই মন্দিরের গবেষণার মাধ্যমে সেই ঐতিহ্যেরও খোঁজ পাওয়া সম্ভব হবে

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই সাত দেউলের সংস্কার এবং পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন অত্যন্ত জরুরি। মন্দিরটির গঠন এবং স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত প্রাচীন এবং নকশাবিদ্যা সুক্ষ্ম, যা বাংলার ধর্মীয় ইতিহাসে একটি অংশস্বরূপ বলা যায়। সময় সুযোগ মতো এই রকম দেউল গুলো ঘুরে আসুন একটু আধটু ভিড় হলে এর গুরুত্ব বুঝে রক্ষা বেক্ষনে যত্নশীল হবে সমাজের প্রভাবশালী মহল