A love story, a marriage between a mature Bangladeshi girl of eleven years old, wrapped in barbed wire:গরার অনির্বাণ মহাপাত্র এবং বাংলাদেশের মাগুরার সঞ্চিতা ঘোষের প্রেম কাহিনী যেন রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। দুই দেশের সীমান্ত, কাঁটাতারের বেড়া, এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েন—কিছুই তাদের ভালোবাসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সময় তাদের পরিচয় হয়। দুজনেই চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত, এবং সেখান থেকেই শুরু হয় তাদের মনের আদান-প্রদান।

সাত বছরের দীর্ঘ সম্পর্কের পর, সম্প্রতি তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। গত বৃহস্পতিবার মাগুরায় সঞ্চিতার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনির্বাণ বলেন, “সীমান্তের কাঁটাতার আমাদের ভালোবাসাকে থামাতে পারেনি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সম্পর্ক দুই দেশের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে।”
বিয়ের পর, শনিবার এগরায় অনির্বাণের বাড়িতে বৌভাতের আয়োজন করা হয়। ভিসা জটিলতার কারণে সঞ্চিতার পরিবারের কেউ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি, যা নববধূর জন্য কিছুটা মন খারাপের কারণ ছিল। তবে শ্বশুরবাড়ির পরিবারের উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং ভালোবাসা সেই অভাব পূরণ করেছে। সঞ্চিতা বলেন, “শ্বশুরবাড়ির সবার ভালোবাসা পেয়ে আমি অভিভূত। আশা করি, শীঘ্রই আমার পরিবারও এখানে আসতে পারবে।”
বিয়ের আট দিনের মাথায় নবদম্পতি আবার বাংলাদেশে যাবেন, যেখানে সঞ্চিতার পরিবার তাদের জন্য আরেকটি সংবর্ধনার আয়োজন করবে। এই বিবাহ শুধু দুটি হৃদয়ের মিলন নয়, এটি দুই দেশের মানুষের মধ্যে ভালোবাসা এবং সম্প্রীতির বার্তা বহন করে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিবাহকে উদযাপন করছেন এবং এটি দুই বাংলার মানুষের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করছেন।
সীমান্তের কাঁটাতার, রাজনৈতিক টানাপোড়েন, এবং ভিসা জটিলতা—সবকিছুই পেছনে ফেলে অনির্বাণ এবং সঞ্চিতার ভালোবাসা প্রমাণ করেছে যে সত্যিকারের প্রেম কোনো সীমানা মানে না। তাদের এই সাহসী পদক্ষেপ দুই দেশের মানুষের মধ্যে ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের নতুন সেতু গড়ে তুলবে বলে আমরা আশা করি।