A large asteroid is heading towards Earth. : পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি বিশাল গ্রহাণু! শুনতেই গা ছমছম লাগছে, তাই না? তবে চিন্তার কিছু নেই। নাসার (NASA) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে ঠিকই, কিন্তু সংঘর্ষের কোনো আশঙ্কা নেই। অ্যাস্টরয়েডটির নাম ২০১৪ টিএন১৭ (Asteroid 2014 TN17) এবং এটি প্রায় তাজমহলের দ্বিগুণ আকারের! এমন ঘটনার কথা শুনে স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া—সব জায়গায় জল্পনা-কল্পনার ঝড় উঠেছে।
নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ টিএন১৭ নামের এই বিশাল গ্রহাণুর ব্যাস প্রায় ৫৪০ ফুট, অর্থাৎ এটি তাজমহলের আকারের দ্বিগুণ। এই গ্রহাণুটি ২৬ মার্চ বিকেল ৫টা ৪ মিনিটে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে। তখন এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্ব দিয়ে মহাকাশের পথ ধরে অতিক্রম করবে। যদিও শুনতে কাছে মনে হচ্ছে, এই দূরত্ব আসলে পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যবর্তী দূরত্বের প্রায় ১৩ গুণ বেশি! তাই বিজ্ঞানীরা এটিকে ‘নিয়ার আর্থ অ্যাস্টরয়েড (Near Earth Asteroid)’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
গ্রহাণুটি ঘন্টায় ৭৭,২৮২ কিমি গতিতে মহাকাশে ছুটে চলেছে। এই গতিবেগ এতটাই বেশি যে, এটি পৃথিবীতে আঘাত করলে কয়েকশো পরমাণু বোমার সমান ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারত! বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি এই আকারের কোনো গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানে, তাহলে তা জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাবে এবং বহু বছরের জন্য প্রাণের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে।
ইতিহাস বলছে, পৃথিবীতে বহু আগেই এমন বিশাল গ্রহাণুর আঘাত লেগেছে, যা পরিবেশ ও প্রাণের বিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে এক বিশাল গ্রহাণু আঘাত করার ফলেই পৃথিবী থেকে ডাইনোসররা বিলুপ্ত হয়। সেই ধাক্কায় তৈরি হয়েছিল ধুলো ও গ্যাসের বিশাল স্তর, যা সূর্যের আলোকে আটকে দিয়েছিল এবং জলবায়ুতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছিল।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মানুষের মধ্যে দুটি ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে—কিছু মানুষ আতঙ্কিত, আবার কিছু মানুষ ভীষণ কৌতূহলী। স্থানীয় এক বাসিন্দা সুব্রত পাল বলেন, “এমন ঘটনা শুনলেই একটা ভয় কাজ করে। তবে যেহেতু বিজ্ঞানীরা বলছেন এতে পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হবে না, তাই আমরা স্বস্তি পাচ্ছি।” আরেকজন নেটিজেন মিঠুন ঘোষ মজার ছলে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমাদের আগে ডাইনোসররা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে গ্রহাণুর ধাক্কায়। আমরা তো অন্তত ‘লাইভ’ দেখতে পাচ্ছি!”