A group of monkeys are playing in the swimming pool!:গরমে হাঁসফাঁস করা এই সময়ে যেখানে এক পশলা জলে স্নান করার নাম শুনলেই মন আনন্দে ভরে ওঠে, ঠিক সেই সময়ে একদল অবাধ্য অথচ মজার বাঁদর যেন সেটা আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল! হ্যাঁ, শুনতে গল্পের মতো লাগলেও ঘটনাটা একেবারে বাস্তব, আর সেই ঘটনার ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়—একদল বাঁদর বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েছে সুইমিং পুলে, কেউ ঝাঁপ দিচ্ছে একেবারে ঢালু প্রান্ত থেকে, কেউ পুলের ধারে বসে জল ছিটোচ্ছে, কেউ আবার তামাম দাপট নিয়ে পুলের জলের মধ্যেই শরীর শীতল করছে গরমে হাঁপিয়ে ওঠা প্রাণের মতো; ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীলঙ্কায়, একটি আবাসনের বাগানের পাশে অবস্থিত ব্যক্তিগত সুইমিং পুলে, আর এই গোটা মজার ঘটনার ভিডিও তুলেছেন বাড়ির একজন বাসিন্দা, যিনি ভিতর থেকে এই দৃষ্টিনন্দন ‘বাঁদরামি’ ক্যামেরাবন্দি করেছেন; ‘ওতারাডেল’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি প্রথমে পোস্ট করা হয়, এরপরই তা ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়, আর সেই সঙ্গে শুরু হয় মজার মজার মন্তব্য—কেউ লিখেছেন, “এই তো প্রকৃতির স্পা ডে!”, কেউ বলছেন, “মানুষ না পারুক, বাঁদরেরাও জানে গরমে সুইমিং পুল কাকে বলে!”, আবার অনেকে হাস্যরসের সুরে লিখেছেন, “বাঁদরগুলোকে একটা মেম্বারশিপ কার্ড দিয়ে দাও, প্রপার ইউজ করছে পুলটা!
”ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, একাধিক বাঁদর একে একে পাঁচিল ডিঙিয়ে ভিতরে প্রবেশ করছে, কেউ পুলের ধারে দাঁড়িয়ে হঠাৎ লাফিয়ে পড়ছে জলে, কেউ আবার নিরাপদ দূরত্ব থেকে পরিস্থিতি পরখ করে তবেই নামছে—পুরো ব্যাপারটাই যেন একটি নিয়মিত পরিবারের গ্রীষ্মকালীন ছুটির দিন; ঘটনা দেখে যেমন মন ভরে যায়, তেমনই উদ্বেগের কথাও বলছেন অনেকে—কারণ, এইরকম বাঁদরদের উপস্থিতি যদি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বেড়ে যায়, তাহলে মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলেই মত বনদফতরের কিছু আধিকারিকের; বিশেষ করে শিশু বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে এমন উপস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, কারণ বাঁদরদের আচরণ সব সময়ই ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না; এই প্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কার স্থানীয় একটি বনদফতরের আধিকারিক বলেছেন, “আমরা চেষ্টা করছি পশুদের বাসস্থান সংরক্ষণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে, যাতে তারা মানুষের জায়গায় না এসে পড়ে”—এই বক্তব্য যেমন বাস্তব, তেমনই এই ঘটনাটি একটা বড় বার্তাও দিয়ে যায়—প্রকৃতি ও পশুদের প্রতি মানুষের আগ্রাসনের ফলে বহু পশুই আজ খাদ্য বা আশ্রয়ের খোঁজে মানববসতিতে চলে আসছে, কখনও বিনোদনের, আবার কখনও দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে;

তবে এই নির্দিষ্ট ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, বরং মানুষ ও পশুর এক অদ্ভুত সহাবস্থানের মজার মুহূর্ত হিসেবেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই ভিডিওটি; স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ওই এলাকায় এর আগেও মাঝেমধ্যে বাঁদরের উপদ্রব দেখা গিয়েছে, তবে সুইমিং পুলে এমন হইচই আগে দেখা যায়নি; ঘটনাটি যেহেতু শ্রীলঙ্কার, তাই সেখানকার পর্যটন শিল্পেও এই ধরণের মজার ভিডিও আকর্ষণ সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা, কারণ প্রাণীপ্রেমী পর্যটকদের কাছে এটি এক বিশেষ আকর্ষণ হতে পারে;ভিডিওর শেষে দেখা যায়, বাঁদরের দল একে একে পুল ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, একেবারে শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে—যেন একসঙ্গে বেড়াতে এসে আবার একসঙ্গেই ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা! এই গোটা ভিডিওটির সত্যতা খবর বাংলা নিশ্চিত না করলেও, ভিডিওতে দৃশ্যমান আচরণ এবং স্থানীয় সূত্রের মতে ঘটনাটি শ্রীলঙ্কার বলেই অনুমান করা হচ্ছে;