ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। আফ্রিকার বোৎসোয়ানা থেকে মে মাসের মধ্যেই চারটি চিতা ভারতে আসবে, যা কুনো জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হবে। এই উদ্যোগটি ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কুনো জাতীয় উদ্যানের আয়তন ৭৫০ বর্গ কিলোমিটার, যেখানে বর্তমানে ২৬টি চিতা রয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি খোলা জঙ্গলে এবং ১০টি সংরক্ষিত এলাকায় রাখা হয়েছে। এই চিতাগুলির মধ্যে ১৪টি চিতাশাবক, যাদের জন্ম ভারতে। এখন, নতুন চারটি চিতার আগমন এই সংখ্যা আরও বাড়াবে।
এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১১২ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে, যার ৬৭ শতাংশই মধ্যপ্রদেশে চিতার পুনর্বাসনের জন্য ব্যয় হয়েছে। কুনোর পাশাপাশি গান্ধী সাগর অভয়ারণ্যে চিতার দ্বিতীয় ঠিকানা হিসেবে ভাবা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত এই অভয়ারণ্যে চিতাদের পুনর্বাসনের জন্য দুই রাজ্যের মধ্যে সমঝোতা চলছে।
চিতাদের দেখভালের জন্য বনকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হতে চলেছে।
পর্যটকদের জন্যও এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতাদের অবমুক্ত করার পর পর্যটকের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে এই জঙ্গলে চিতা সাফারি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য নয়, বরং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চিতাদের আগমন স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হতে চলেছে। আশা করা হচ্ছে, চিতাদের সফল পুনর্বাসন ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের নতুন পথ দেখাবে।