India-Pakistan relations deteriorate after Pahalgaon attac : পহেলগাঁওয়ের মর্মান্তিক হামলার পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কের পরিস্থিতি একেবারে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, আর এই উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দুই দেশের মধ্যে আবার যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে; দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটার পর থেকেই গোটা ভারত জুড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে, আর এই আবেগের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে দিল্লির নীতিনির্ধারণী মহলেও, কারণ ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে এই বর্বরোচিত ঘটনার জন্য, যদিও ইসলামাবাদ প্রথম থেকেই এই হামলার সাথে তাদের কোনও যোগসূত্র থাকার কথা অস্বীকার করে এসেছে এবং নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিও করেছে; তবুও ভারত কঠোর অবস্থান নিয়েছে—ইন্দাস জলচুক্তি কার্যত স্থগিত করা হয়েছে,
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধের পথে অগ্রসর হওয়া হয়েছে এবং ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে পাকিস্তানের নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে; এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ এক বিস্ফোরক দাবি করে বলেছেন, “আমরা আমাদের বাহিনীকে তৈরি রাখছি”, এবং তিনি আরও যোগ করেছেন, “পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাই আমরা সেই পথেই হাঁটছি”, যা কার্যত ভারতীয় সামরিক আক্রমণের আশঙ্কার ইঙ্গিত দিচ্ছে; যদিও আসিফ স্পষ্ট করে বলেননি যে কোনও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তান এই প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা, তবে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে যে, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে;
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের এই কঠিন পদক্ষেপ এবং পাকিস্তানের পাল্টা সামরিক প্রস্তুতি দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করতে পারে এবং বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে; অন্যদিকে ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক রাকেশ শর্মা জানান, “পাকিস্তান বরাবরই সীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে উসকানি দিয়েছে, এবারও সেই পুরনো কৌশলের পুনরাবৃত্তি ঘটছে, তাই ভারতের কঠোর পদক্ষেপ একেবারেই যুক্তিসঙ্গত”; পাশাপাশি কূটনৈতিক মহলে জোর আলোচনা চলছে যে ভারত জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ জানিয়ে চাপ বাড়াতে পারে; তবে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের প্রতি ক্ষোভ সর্বাধিক মাত্রায় পৌঁছেছে, দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ, পাকিস্তানের পতাকা দহন ইত্যাদি ঘটছে; অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি তুলেছেন, “পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে”, আবার কিছু অংশ শান্তি ও কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে, বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা থাকায় পরিস্থিতির গুরুত্ব আরও বেড়েছে;
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যদি দুই দেশের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে গোটা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে মানবিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে; এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তান কি কোনওভাবেই কূটনৈতিক সংলাপের পথে ফিরতে পারবে নাকি আরও সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাবে? আন্তর্জাতিক মহলও খুব সতর্কভাবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে, বিশেষ করে আমেরিকা, চিন এবং জাতিসংঘ সক্রিয়ভাবে দুই পক্ষকেই সংযত থাকার আহ্বান জানাতে পারে; শেষ পর্যন্ত, পহেলগাঁওয়ের এই রক্তাক্ত অধ্যায় শুধু দুটি দেশের মধ্যে নয়, পুরো অঞ্চলের শান্তির ভবিষ্যতের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে চলেছে, এবং এখন গোটা বিশ্বই অপেক্ষায়—সমাধানের, শান্তির, আর মানবিকতাকে প্রাধান্য দেওয়ার।