Trump calls Harvard a ‘joke’, threatens to cut off funding : যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এই বিশ্বখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘তামাশা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং তাদের ফেডারেল তহবিল বন্ধের হুমকি দিয়েছেন। এই ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রশাসনের দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের ডাইভার্সিটি, ইক্যুইটি এবং ইনক্লুশন (DEI) প্রোগ্রাম বন্ধ করতে হবে, মুখোশ পরা নিষিদ্ধ করতে হবে, এবং অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।
হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার এই দাবিগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন এবং জানান, “আমরা সরকারের চাপের কাছে নতি স্বীকার করব না।” এর প্রতিক্রিয়ায়, ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত ২.২ বিলিয়ন ডলার অনুদান এবং ৬০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্থগিত করে। পাশাপাশি, ট্রাম্প আইআরএসকে হার্ভার্ডের কর-ছাড় সুবিধা বাতিল করার নির্দেশ দেন, যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রেসিডেন্টের এই ধরনের হস্তক্ষেপ আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।

এই ঘটনায় প্রযুক্তি জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এরিক শ্মিট উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ বিজ্ঞান ও গবেষণার ওপর আঘাত হানবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করবে।” হার্ভার্ডের এই অবস্থান অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অনুপ্রাণিত করেছে। যেমন, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবির কাছে নতি স্বীকার করলেও, হার্ভার্ড তাদের স্বাধীনতা রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এই সংঘাত মার্কিন উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার স্বাধীনতা ও সরকারের হস্তক্ষেপ নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে, তবে তা বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।



                                    