Bus catches fire on Second Hooghly Bridge:-গত বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে কলকাতার বুকে ঘটে গেল এক রোমহর্ষক ঘটনা, যা এখনও শহরবাসীর মনে আতঙ্কের ছাপ রেখে গেছে। কলকাতার বাবুঘাট থেকে পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একটি যাত্রীবাহী বাস যখন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মাঝ বরাবর পৌঁছায়, তখন হঠাৎই বাসটির চাকা থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাসে, আর দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে বাসটি।

বাসে প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিলেন, যারা হঠাৎ এই আগুন দেখে আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামার চেষ্টা করেন। অনেকেই আহত হন, তবে সৌভাগ্যবশত কেউ গুরুতর আহত হননি। বাসের চালক ও কন্ডাক্টর দ্রুততার সঙ্গে যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেন, যা বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেছে। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এবং কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক আধিকারিকরা।
ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে ততক্ষণে বাসটি সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে যায়। বাসের ছাদে ও ভিতরে থাকা সমস্ত মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনার জেরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কলকাতা-হাওড়াগামী লেন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়, যার ফলে সেতুর উপর ও সংলগ্ন রাস্তাগুলিতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটি যেন সিনেমার কোনও দৃশ্য, যেখানে বাসের ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীরা প্রাণ বাঁচাতে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ছেন।

দমকল ও পুলিশ বাহিনী আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে, তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে বাসের ইঞ্জিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এই ঘটনার পর বাস মালিকদের প্রতি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। এই ঘটনাটি শহরবাসীর মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং সবাই আশা করছেন, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে।