Thursday, April 17, 2025
Google search engine
Homeপশ্চিমবঙ্গসবজি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা, উদ্বেগে কৃষকরা

সবজি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা, উদ্বেগে কৃষকরা

Farmers worried about loss in vegetable cultivation : টাকিমারি চড়ের মাঠজুড়ে এখন আর আগের মতো সবুজের ছড়াছড়ি নেই, নেই সেই ঝিঙের লতানো গন্ধ, শশার শীতলতা বা লঙ্কার টকটকে রঙ – সবজি চাষিদের মুখে এখন শুধুই দুশ্চিন্তা আর অসহায়তার ছাপ। এবছরের মতো এমন বিপর্যয় কৃষকরা নাকি গত দশ বছরেও দেখেননি। সারা বছর ধরে আশায় বুক বেঁধে যাঁরা জমিতে ঘাম ঝরান, এখন তাঁদের চোখে শুধু হতাশা। টাকিমারি অঞ্চলের জনপ্রিয় চাষি নিমাই মণ্ডল বললেন, “ভাই, চাষ করলাম অনেক খরচ করে, কিন্তু ফলন যে একেবারেই হয়নি।

Winter

না আছে বৃষ্টি, না আছে ঠাণ্ডা – একদিকে গরমে গাছ পুড়ে গেল, আর অন্যদিকে কীটপতঙ্গ এসে যা রইল তাই শেষ করে দিল।” শুধু নিমাইবাবু একা নন, তাঁর মতো অসংখ্য কৃষক এখন ঋণ শোধ করার চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারছেন না। অনেকে মহাজন থেকে উচ্চ সুদে টাকা নিয়ে চাষ শুরু করেছিলেন, অনেকে আবার ব্যাঙ্ক থেকে কৃষিঋণ নিয়েছেন। ফলন আশানুরূপ না হওয়ায় বিক্রি করে পুঁজি তুলতে পারছেন না, তার উপর বাজারে সবজির দাম এতটাই পড়ে গেছে যে, যা বিক্রি হচ্ছে তাও খরচ তুলছে না। ফলে মাথায় এখন চাষ নয়, টিকে থাকার যুদ্ধ। এলাকাজুড়ে এখন একটা অজানা আতঙ্ক – যদি এই অবস্থা চলতেই থাকে তাহলে আগামী দিনে টাকিমারিতে আর কেউ সবজি চাষ করতেই চাইবে না।

আশপাশের অঞ্চলেও অবস্থা কমবেশি একই, বলছেন খোকন মৃধা নামে এক চাষি, “আগে আমরা শশা আর ঝিঙে বেচে যা রোজগার করতাম তাতে সংসার চলত ভালই। এখন তো বেচতে গিয়েই লোকসান হচ্ছে। কেজি প্রতি শশা পাচ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে, অথচ মাঠ থেকে তুলতে গেলে খরচই হচ্ছে ছয় টাকা। এইভাবে আর কতোদিন!” চাষিরা বলছেন, যদি সরকার ক্ষতিপূরণ না দেয় বা কৃষিঋণ মকুব না করে তাহলে এই মানুষগুলোর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অনিয়মিত বর্ষা, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং বালাই সমস্যা – সব একসঙ্গে এসে যেন কৃষকদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকিয়ে দিয়েছে। কৃষি আধিকারিক তপন সাহা বলেন, “আমরা মাঠ পরিদর্শন করেছি, ফলনের অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ। আমরা ঊর্ধ্বতন দফতরে রিপোর্ট পাঠিয়েছি, কৃষকদের সহায়তা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলেই মনে করছি।” তবে শুধু সরকারি সহায়তা নয়, কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে কৃষকদের আরও আধুনিক চাষ পদ্ধতি ও সঠিক সময়ে পরাম

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments