Friday, April 11, 2025
Google search engine
Homeরাজনীতিঅন্যানো রাজনীতিগাজায় ইজরায়েলের হামলায় ৩০০ নিহত, যুদ্ধবিরতি ভেঙে নতুন উত্তেজনা

গাজায় ইজরায়েলের হামলায় ৩০০ নিহত, যুদ্ধবিরতি ভেঙে নতুন উত্তেজনা

300 killed in Israeli attack on Gaza, ceasefire breaks, new tensions:গাজা উপত্যকায় আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনীর সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ৩০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এই হামলার ফলে মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গেছে, যা নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।

গত জানুয়ারিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যা কিছু সময়ের জন্য শান্তির আশা জাগিয়েছিল। তবে ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলা সেই আশাকে ভেঙে দিয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলা হামাসের ঘাঁটিতে চালানো হয়েছে। অন্যদিকে, হামাস অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে এই হামলা চালিয়েছে।

grunge country flag illustration palestine

গাজার বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষ করে গাজা সিটি, রাফা, খান ইউনিস, ডের আল-বালাহতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃতদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে আহতদের ভিড়ে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

এই হামলার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “গাজার নিরীহ মানুষের প্রাণহানি মেনে নেওয়া যায় না। সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শন করতে হবে।” যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরও এই হামলার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

গাজার স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতিতে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “আমরা প্রতিদিন বোমার আওয়াজে ঘুম ভাঙি। আমাদের শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পায়। এই জীবন আর কতদিন চলবে?”

এই সংঘর্ষের ফলে গাজার অর্থনীতি আরও বিপর্যস্ত হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ, বিদ্যুৎ ও পানির সংকট তীব্রতর হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মহম্মদ আলি বলেন, “আমাদের দোকানপাট বন্ধ। পণ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা কীভাবে বাঁচব?”

image 1739175938

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংঘর্ষের ফলে পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়তে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া আরও জটিল হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দ্রুত হস্তক্ষেপ করে উভয় পক্ষকে সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের পথে আনা।

গাজার এই পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর কাছে একটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে—কবে শেষ হবে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ? নিরীহ মানুষের রক্ত আর কতদিন ঝরবে? শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সকল পক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টা এখন সময়ের দাবি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments