Saturday, April 12, 2025
Google search engine
Homeঅন্যান্যলন্ডনে আরো দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নিমন্ত্রণ মুখ্যমন্ত্রীর

লন্ডনে আরো দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নিমন্ত্রণ মুখ্যমন্ত্রীর

Chief Minister receives invitations from two more educational institutions in London:আগামী ২১শে মার্চ দুবাই হয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এই বিদেশ সফর নিয়ে শুরু থেকেই নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। খবর বাংলার পর্দায় আমরা আগেই জানিয়েছিলাম, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে তিনি লন্ডন সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি সমাজ উন্নয়ন, শিশু ও নারী ক্ষমতায়ন বিষয়ে বক্তৃতা দেবেন। তবে নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। শুধু অক্সফোর্ড নয়, লন্ডনের আরও দুই নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স (LSE) এবং কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তৃতার জন্য নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সোমবার নবান্নের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানানো হয়।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন লেখিকা, চিন্তাবিদ এবং সমাজসংস্কারকও। তার উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক নারী ও শিশু কল্যাণমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে এবং রাষ্ট্রসংঘ থেকেও সম্মানিত হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই বিদেশ সফর পশ্চিমবঙ্গের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমন দাস বলেন, “এই সফর শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত স্বীকৃতি নয়, এটি বাংলার উন্নয়ন মডেলকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার বিরাট সুযোগ।”রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। মুখ্যমন্ত্রী শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্পের মতো বিশ্বমানের সামাজিক উদ্যোগের রূপকার।”তবে বিরোধীরা এই সফরকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি।

Screenshot 2025 03 19 161632

বিরোধী দলনেতা সুবেন্দু অধিকারী বলেন, “এই বিদেশ সফর আসলে সরকারি টাকার অপচয় মাত্র। এতে বাংলার সাধারণ মানুষের কোনো লাভ হবে না।”কিন্তু নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, “এই সফরের কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নেই। বাংলার উন্নয়ন মডেলকে আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরাই মুখ্যমন্ত্রীর মূল লক্ষ্য।”মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর শুধুমাত্র বক্তৃতা সীমাবদ্ধ থাকবে না। লন্ডনে বিভিন্ন শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে, যা বাংলায় বিনিয়োগ টানতে সাহায্য করতে পারে।সব ঠিক থাকলে আগামী ২৭শে মার্চ তিনি দেশে ফিরবেন এবং তারপর এই সফর থেকে কী কী পাওয়া গেল, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments