The return of the hero, the bombastic love story:বীরভূম জেলার মাড়গ্রামের বামদেবপুর গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। রংলাল মাল নামে এক ব্যক্তি নিজের বাড়ির মাটির দোতলার ঘুঁটে মজুত রাখার স্থানে পরিষ্কার করার সময় একটি পুরনো বোমার সঙ্গে সংঘর্ষে তার বাঁ হাতের কবজি উড়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন, যেখানে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন।

রংলাল মাল জানিয়েছেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন তিনি একটি অবিস্ফোরিত বোমা কুড়িয়ে এনে বাড়ির ওই স্থানে রেখে দেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি ভুলে যান, এবং সেখানে ঘুঁটে মজুত করা হয়। এদিন পরিষ্কার করার সময় দুর্ঘটনাবশত বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঘরের মেঝেতে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং বোমাটি কীভাবে সেখানে এল, তা খতিয়ে দেখছে।
বীরভূমে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাড়গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়, যার ফলে তৎকালীন পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে অপসারণ করা হয়। এছাড়া, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জামালপুর গ্রামে বালিঘাট দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে, যেখানে শেখ সাত্তার নামে এক ব্যক্তির পা উড়ে যায়।
এ ধরনের ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যে শতাধিক তাজা বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যা স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
স্থানীয় সমাজকর্মী সুমিতা দাস বলেন, “এভাবে বোমা মজুত ও বিস্ফোরণের ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। প্রশাসনের উচিত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করা।”

বীরভূমের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, “আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত করছি। বোমা মজুত ও বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ধরনের ঘটনা থেকে বোঝা যায়, অবৈধ অস্ত্র ও বোমা মজুতের প্রবণতা এখনও বীরভূমে বিদ্যমান। প্রশাসনের উচিত স্থানীয়দের সচেতন করা এবং অবৈধ অস্ত্র মজুতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।