Before the Great War, India fought, the national anthem was played in Lar : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫—ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এক বিশেষ দিন। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে মুখোমুখি হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা, আবেগ এবং প্রত্যাশার পারদ চড়েছে চূড়ান্ত পর্যায়ে।
তবে, এই মহারণের আগের দিনই লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ঘটে যায় এক অভূতপূর্ব ঘটনা। ২২ ফেব্রুয়ারি, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ম্যাচের আগে ভুলবশত বাজানো হয় ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’। এই ঘটনায় পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (ICC) কাছে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে। পাকিস্তানি সমর্থকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, যারা সঠিক জাতীয় সঙ্গীত বাজাতে পারে না, তারা কীভাবে এত বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে?

অন্যদিকে, ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে এই ঘটনাটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ এটিকে পাকিস্তানের অব্যবস্থাপনার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউবা এটিকে নিছক একটি ভুল হিসেবে মেনে নিচ্ছেন। তবে, এই ঘটনার ফলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই আসরে ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই গ্রুপ ‘এ’ তে রয়েছে। ভারত তাদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে পরাজিত করে আত্মবিশ্বাসে উজ্জীবিত, অন্যদিকে পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে কিছুটা চাপে রয়েছে। দুবাইয়ের ম্যাচটি উভয় দলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ম্যাচের ফলাফল সেমিফাইনালে পৌঁছানোর পথে বড় ভূমিকা পালন করবে।
ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ম্যাচের আগে বলেন, “পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ সবসময়ই বিশেষ। আমরা আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে প্রস্তুত।” অন্যদিকে, পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, “ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং, তবে আমরা আমাদের দক্ষতা ও মনোবল দিয়ে ম্যাচটি জিততে চাই।”
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগে উভয় দলের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। সমর্থকদের উল্লাস, পতাকার ঢেউ এবং স্লোগানে স্টেডিয়াম মুখরিত হয়ে ওঠে। ম্যাচের শুরুতে পাকিস্তান টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে, ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ফলে পাকিস্তান দ্রুতই দুটি উইকেট হারায়। হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বোলিংয়ে পাকিস্তানের রান সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি হয়।

এই ম্যাচের ফলাফল শুধু পয়েন্ট টেবিলেই নয়, উভয় দেশের সমর্থকদের মনোবলেও প্রভাব ফেলবে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই অতিরিক্ত উত্তেজনা, আবেগ এবং গর্বের বিষয়। এই ম্যাচের মাধ্যমে ক্রিকেট কেবল একটি খেলা নয়, বরং দুই দেশের মানুষের আবেগ, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের প্রতিফলন ঘটে।
শেষমেশ, এই ম্যাচের ফলাফল যাই হোক না কেন, ক্রিকেটপ্রেমীরা একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচের সাক্ষী হবেন। ক্রিকেটের এই মহারণে কে হাসবে শেষ হাসি, তা সময়ই বলবে।