‘Amar Ekushey’ celebrated in Santiniketan :-যথাযথ মর্যাদায় শান্তিনিকেতনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হলো। সকালে ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট হাউসের সামনে থেকে প্রভাত ফেরী আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়। প্রভাত ফেরী শেষ হয় বিশ্বভারতী ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় সংহতি কেন্দ্রে, যেখানে অস্থায়ী শহীদ বেদী তৈরি করা হয়েছিল। সেই অস্থায়ী শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি সেখানে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, অন্যান্য বছর এই দিনটি বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে পালন করা হলেও এবছর ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় সংহতি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মসূচি। স্থান পরিবর্তনের কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি আরও বড় পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনার অংশ, যাতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রদর্শনও করা যায়।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় এক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে রবীন্দ্রসংগীত, আবৃত্তি, নাটক এবং নৃত্য পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল দুই দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের যৌথ পরিবেশনা, যা ভাষার ঐক্য এবং সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের প্রতিফলন ঘটায়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী এক ছাত্র বলেন, “আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছি, আমাদের কাছে একুশে ফেব্রুয়ারি অত্যন্ত আবেগের দিন। এখানে এই দিনটি পালিত হতে দেখে গর্বিত মনে হচ্ছে।” একইভাবে ভারতীয় ছাত্ররাও জানান, ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের এই অনন্য উদ্যোগ তাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

শান্তিনিকেতনে ‘অমর একুশে’ পালনের এই আয়োজন শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি ভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতিফলন। এটি দুই বাংলার সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন আয়োজনের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলবে।