Former grandfather arrested in Durgapur দুর্গাপুরে চাঞ্চল্যকর গ্রেপ্তার! দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন দুর্গাপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মানষ রায় ও তার ছেলে অভ্রনীল রায়। সোমবার রাতে দুর্গাপুর থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে, মানষ রায় ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দুর্গাপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন এবং এই সময়কালে তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে এবং তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। আজ, বুধবার, তাদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানষ রায় এবং তার ছেলে অভ্রনীল রায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ব্যবসার নামে টাকা তুলতেন। তবে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। প্রতারিত ব্যক্তিদের দাবি, তারা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতেন এবং পরে টাকা আত্মসাৎ করতেন। বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্গাপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং অবশেষে সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।একজন প্রতারিত ব্যক্তি বলেন, “আমি আমার সঞ্চিত টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম ব্যবসার জন্য, কিন্তু পরে দেখি যে সেটি প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। অনেকবার চেষ্টা করেও টাকা ফেরত পাইনি, বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হই।”

এই গ্রেপ্তার ঘিরে দুর্গাপুর জুড়ে আলোড়ন পড়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, একজন জনপ্রতিনিধি যদি এই ধরনের আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তবে এটি অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা ভোট দিয়ে কাউন্সিলর বানাই এলাকার উন্নতির জন্য, কিন্তু যদি তারা নিজেরাই প্রতারণা করেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে?”
এদিকে, মানষ রায়ের অনুগামীরা এই গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছেন। তাদের মতে, এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, এবং আসল সত্য সামনে আসবে আদালতে।দুর্গাপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, “আমরা একাধিক অভিযোগ পেয়েছিলাম এবং সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করেছি। তদন্ত এখনও চলছে, এবং যদি আরও অভিযোগ আসে, তবে আমরা সেগুলিও খতিয়ে দেখব।”

এই গ্রেপ্তার দুর্গাপুরের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোড়ন তুলেছে। বিশেষ করে পৌরসভার সাবেক জনপ্রতিনিধি হওয়ায় এটি নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা দুর্গাপুরের আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ চাইছেন, এই ধরনের প্রতারণামূলক কাজের উপযুক্ত বিচার হোক এবং ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক।প্রাক্তন কাউন্সিলর মানষ রায় ও তার ছেলের গ্রেপ্তার দুর্গাপুরের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে বেশ বড়সড় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত এখনো চলছে এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসতে পারে। এখন দেখার বিষয়, এই মামলা কীভাবে এগোয় এবং আদালতে কী রায় আসে।