The price of alternatives is rising, residents are in trouble : গরুমারা বনবিভাগের রামশাই এলাকার কালিপুর ইকো ভিলেজের বনবস্তিতে সম্প্রতি পর্যটকদের প্রবেশ মূল্য মুকুব করার সিদ্ধান্তে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম বিপাকে পড়েছেন।
এতদিন পর্যটকদের সামনে আদিবাসী নাচ-গান পরিবেশন, পাটের হস্তশিল্প বিক্রি এবং চা-বিস্কুট পরিবেশন করে যা আয় হতো, তার ২৫ শতাংশ বন দপ্তরের মাধ্যমে জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের মধ্যে ভাগ করা হতো।

কিন্তু প্রবেশ মূল্য তুলে দেওয়ায় এই আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে অনেকেই দিনমজুরির কাজ বা ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার কথা ভাবছেন। কালিপুর বনবস্তির বাসিন্দারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর চিন্তায় রয়েছেন।
তাদের প্রশ্ন, “আমাদের নাচ-গান, হস্তশিল্পের মূল্য কীভাবে পাবো?” বন দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, “এতদিন পর্যটকদের টিকিটের মূল্য থেকে এই নৃত্যশিল্পীদের প্রাপ্য মেটানো হতো। এখন নতুন ব্যবস্থা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে।”
পর্যটকদের জন্য জঙ্গল সাফারির টিকিট এখনও বাধ্যতামূলক, তবে আদিবাসী সংস্কৃতি উপস্থাপনের জন্য নতুন পদ্ধতি প্রণয়ন জরুরি। স্থানীয় বাসিন্দারা আশা করছেন, সরকার তাদের আয়ের বিকল্প ব্যবস্থা করবে, যাতে তারা তাদের সংস্কৃতি ও জীবিকা রক্ষা করতে পারেন।